পাকা কাঁঠালের স্বাদ নেওয়ার সময় এখনও আসেনি। তবে শুরু হচ্ছে কাঁচা কাঠালের মৌসুম। এমন অনেককে খুঁজে পাবেন যারা পাকা কাঁঠাল খেতে খুব একটা পছন্দ না করলেও কাঁচা কাঁঠালের তরকারি খেতে ভীষণ ভালোবাসেন। কাঁচা কাঁঠাল বা এঁচোড়ের তরকারি খেতেই কেবল সুস্বাদু নয়, এটি আমাদের শরীরের জন্যও দারুণ উপকারী। চলুন জেনে নেওয়া যাক কাঁচা কাঁঠাল খাওয়ার উপকারিতা-
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে
কাঁচা কাঁঠাল প্রোটিনের একটি সমৃদ্ধ উৎস। কাঁচা কাঁঠালে ২০৬ গ্রাম ও কাঁঠালের বীজে ৬.৬ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। আমাদের শরীরের গঠনে সাহায্য করে এই প্রোটিন। সেইসঙ্গে কাঁঠালে থাকে শ্বেতসার। যারা মাছ-মাংস খান না বা কম খান তাদের জন্য একটি দারুণ উপকারী খাবার হতে পারে কাঁচা কাঁঠাল। বিশেষজ্ঞরা বলেন, মাংস খেলে যে উপকার পাওয়া যায়, তার অনেকটাই পাওয়া যায় কাঁচা কাঁঠাল খেলেও। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে কাজ করে কাঁচা কাঁঠাল। তাই যাদের এ ধরনের সমস্যা রয়েছে তারা খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন এটি।
ক্ষতিকর কোলেস্টেরল দূর করে
হৃদরোগ থেকে দূরে থাকতে চাইলে খেতে পারেন কাঁচা কাঁঠালের তরকারি। কারণ এই রোগ প্রতিরোধে কাজ করে কাঁচা কাঁঠাল। রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল দূর করতে সাহায্য করে এটি। ফাইবারসমৃদ্ধ ফল হওয়ার ফলে কাঁচা কাঁঠাল হজমশক্তি বাড়ায় এবং পেট পরিষ্কার রাখতে কাজ করে।
বাড়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
আমাদের সুস্থতার জন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী থাকা কতটা জরুরি তা জানা আছে নিশ্চয়ই? আর এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে কাঁচা কাঁঠাল। এই খাবারে আছে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি। ফলে এটি খেলে অনেক রোগ থেকে দূরে থাকা সহজ হয়। একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর থেকে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। তাই খাবারের তালিকায় যদি কাঁচা রাখা যায় তাহলে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে আনা সম্ভব।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখার জন্য খাবারের প্রতি মনোযোগী হতে হবে। এক্ষেত্রে কাঁচা কাঁঠালের জুড়ি মেলা ভার। এই খাবারের মধ্যে থাকে পটাশিয়াম, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ফলে কাঁচা কাঁঠালের তরকারি খেলে তা বিভিন্ন ধরনের হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।