আফগানিস্তানের সশস্ত্র সংগঠন তালেবানের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, তারা আফগানিস্তানে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের অপেক্ষায় রয়েছেন। রোববার ব্রিটেনভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির সাথে সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেন তিনি।
তালেবান মুখপাত্র সুহাইল শাহিন বিবিসিকে বলেন, ‘আমাদের নেতারা নির্দেশ দিয়েছেন যেন আমাদের যোদ্ধারা কাবুল শহরের ফটকে অবস্থান নেয়। আমাদেরকে কাবুল শহরে প্রবেশ করতে বলা হয়নি। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের অপেক্ষায় আছি।’
তিনি আরো বলেন, সকল আফগান নাগরিক দেশটির ইসলামি সরকারে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। অর্থাৎ তালেবানের বাইরে যেকোনো আফগানই সরকারে অংশ নিতে পারেন।
সুহাইল শাহিন বলেন, ‘আমরা আফগানিস্তান ও আফগান জনগণের খাদেম। আফগানিস্তানের কোনো মানুষের সাথে প্রতিশোধমূলক আচরণ করা হবে না। আমরা আফগান নাগরিকদের বিশেষ করে কাবুলের লোকদের আশ্বস্ত করছি যে তাদের সম্পদ ও জীবন নিরাপদ। কারো প্রতি প্রতিশোধ নেয়া হবে না।’
দীর্ঘ দুই দশক আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনের পর ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাতারের দোহায় এক শান্তিচুক্তির মাধ্যমে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহার করতে সম্মত হয় যুক্তরাষ্ট্র। এর বিপরীতে আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অংশ নিতে তালেবান সম্মত হয়।
এই বছরের মে মাসে সৈন্য প্রত্যাহারের কথা থাকলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এপ্রিলে এক ঘোষণায় ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সৈন্য প্রত্যাহারের কথা জানান। পরে জুলাই সময়সীমা আরো কমিয়ে এনে ৩১ আগস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন তিনি।
মার্কিনিদের সাথে চুক্তি অনুসারে আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সরকারের সাথে তালেবানের সমঝোতায় আসার কথা থাকলে কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি দুই পক্ষ। সমঝোতায় না পৌঁছানোর জেরে তালেবান আফগানিস্তান নিয়ন্ত্রণে অভিযান শুরু করে।
৬ আগস্ট প্রথম প্রাদেশিক রাজধানী হিসেবে দক্ষিণাঞ্চলীয় নিমরোজ প্রদেশের রাজধানী যারানজ দখল করে তারা। যারানজ নিয়ন্ত্রণে নেয়ার ১০ দিনের মাথায় কাবুলের প্রান্তে এসে পৌঁছেছে তালেবান যোদ্ধারা।
সূত্র : বিবিসি