নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানী তুরাগ থানার ৫২ নং ওয়ার্ড আ’ লীগের সভাপতি পদপ্রার্থী ইব্রাহিম গণি মেম্বার বিএনপি পন্থী পরিবারের সন্তান বলে অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল আ’লীগের নেতা কর্মীদের মাঝে।
জানা যায় সাবেক হরিরামপুর ইউনিয়ন আ’ লীগের সাবেক সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও তাঁর নিজ পবিবারেই সবাই চলমান রাজনৈতিক অঙ্গনের বিএনপির নেতা।
বর্তমানে ইব্রাহিম গনি মেম্বার ঢাকা মহানগর উত্তরের ৫২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি পদপ্রার্থী হিসেবে জাহের করাতে অনেক তৃনমুল নেতা কর্মীদের প্রশ্ন বাংলাদেশ আ’লীগ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মিশন বাস্তবায়ন ও আগামী জাতীয় সাংসদ নির্বাচনে ইব্রাহিম গনি মেম্বারের কেমন ভূমিকা রাখবে যেহেতু তাঁর নিজ আত্মীয় সজনই বিএনপি পন্থী। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় গত ০৫ই মে রাজনৈতিক মামলায় গনি মেম্বারের চাচা জব্বার মাস্টারকে গ্রেফতার করেন তুরাগ থানা (ডিএমপি) ।
তাঁর আপন ভাইয়ের ছেলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে বিভিন্ন পোস্ট করেন বলে জানা যায়। এছাড়াও আপন চাচা, মামাতো ভাই বিএনপির পোস্টধারী নেতা। ইব্রাহিম গনি মেম্বার সাধারণ পরিবারের সন্তান হলেও বর্তমানে তার শাওন শওকত রাজকীয়। গত ১২/১৩ বছরে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে অবৈধ দখল বাণিজ্য এবং কৌশলে সাধারণ মানুষের জায়গা জমির রাস্তাঘাট দখল করে তিনি এখন অনেক টাকার মালিক। ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী লোকজনের ছত্রছায়ায় থেকে ইব্রাহিম গণি মেম্বার এখন আরও বেপরোয়া- স্থানীয় সূত্রে এমনটাই জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাবেক এ মেম্বারের আয়ের অন্যতম উৎস হচ্ছে, সাধারণ মানুষের জায়গা জমির চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে জোর জরবদস্তি টাকা আদায় করা। তুরাগের বাদালদি এলাকায় বহিরাগত অনেকেই জায়গা জমি ক্রয় করে বাড়ি করার আশায়। বহিরাগত এসব ক্রেতারা জমি ক্রয়-বিক্রয় করলেও ইব্রাহিম গণিকে দিতে হয় দালালির টাকা। আর কেউ যদি দালালির টাকা না দেয়, তাহলে বহিরাগতের জমির আশপাশের মালিকদের সাথে নিয়ে বা ক্ষেত্র বিশেষ রাস্তার জমি ক্রয় করে প্রকৃত মালিক থেকে ক্রয়কৃত জমির সমপরিমাণ টাকায় আদায় করে নেয় সে।
স্থানীয় একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে এসব কথা বলেন।এছাড়া নামে-বেনামে রয়েছে আরও অনেক জমি। গণি এসব বিত্ত-বৈভব গড়েছেন শুধুমাত্র চাঁদার টাকায়।
এছাড়া উত্তরা নতুন সেক্টরগুলোতে অবৈধ দখলের মূল সেল্টারদাতা হিসেবে তার নাম আসে সবার আগে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে নতুন সেক্টরে দখলবাজির যে সমস্ত খবর প্রকাশিত হয়েছে তাদের সবার মদদদাতা হিসেবে রয়েছেন ইব্রাহিমের নাম। বিশেষ করে দখলবাজ সুলতান ও রহিম বাদশার মূল সেল্টারদাতা হিসেবে এই ইব্রাহিম গনি মেম্বারের নাম এসেছে। দখলবাজির অবৈধ কাজের সেল্টার দিয়ে তিনি প্রতিমাসে প্রায় ১০ লাখ টাকা চাঁদা পান জানা যায়।
এসব অভিযোগের বিষয়ে ইব্রাহিম গণি বলেন,
আমার আপন বড় ভাই বিএনপি করতো, কিন্তু তিনি বর্তমানে ডায়ালাইসিসের রোগী।দাদার ওয়ারিশে থাকতে পারে । প্রার্থীদের মধ্যে ইকবাল মাস্টারের আপন গোষ্ঠির কেউ আ’ লীগ আছে কি জানেন তো। আমি দীর্ঘ সময় ধরে আ’লীগ করে আসছি।পদ পদবি সবই ছিল।এখন দল আমাকে পদ দিলেও ভালো না দিলেও তাদের ইচ্ছা।






