আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা গ্রহণ না করলেও আফগানিস্তান এখন তালেবানের। ইতোমধ্যেই দেশটিকে তারা ‘ইসলামিক এমিরেট অব আফগানিস্তান’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে দুই দশক ছড়ি ঘোরানোর পর শূন্য হাতে সেখান থেকে ফিরে যেতে হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রকে। এ নিয়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ওপর বেজায় চটেছেন তারই পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ট্রাম্প বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কারণেই আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনীকে শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছে। আমি ক্ষমতায় থাকলে সফলতার সঙ্গে সেনা প্রত্যাহার করতাম। এভাবে সেনা প্রত্যাহার করে বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রকে অপমান করেছেন এবং এজন্য তার পদত্যাগ করা উচিত।
ট্রাম্পের আমলেই আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ব্যাপারে তালেবানের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল। তবে বাইডেন ক্ষমতায় এসে সেপ্টেম্বরের মধ্যেই এই প্রক্রিয়া শেষ করার ঘোষণা দেন। সেই ঘোষণার পর থেকেই তালেবানরা একের পর এক এলাকা দখলে নিতে থাকে। সেসব দেখেও বাইডেন তার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেননি।
এদিকে, তালেবানের পক্ষ থেকে দাবি তোলা হয়েছে, কোনো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যবস্থা চলবে না বরং আফগানিস্তানের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ সরাসরি তাদের হাতে হস্তান্তর করতে হবে। তালেবানের দুই সদস্য বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এই তথ্য জানিয়েছেন। তারা বলছেন, গোটা আফগানিস্তানে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পর আর কোনো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চলবে না।
প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি পদত্যাগ করে দেশ ছাড়লেও তিনি কোন দেশে গেছেন তা নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারছে না। যদিও কোনো কোনো রিপোর্টে তার তাজিকিস্তান যাওয়ার কথা বলা হচ্ছে। এমনকি দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ঘানি তাজিকিস্তান চলে গেছেন।
 
								




