ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকাকালে ইসরায়েলকে যেভাবে সমর্থন করে গেছেন, তা অন্য কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট করেননি বা করতে সাহস করেননি। তার শাসনামলে ইসরায়েলের নেতৃত্বে ছিলেন বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। দুজনই যখন ক্ষমতার বাইরে তখন নেতানিয়াহুর সমালোচনায় মেতেছেন ট্রাম্প।
প্রেসিডেন্ট থাকাকালে ইসরায়েলের সাথে সব দেশের বিশেষ করে আরব বিশ্বের দেশগুলোর সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে তিনি ও তার উপদেষ্টা ছুটেছেন দেশের পর দেশ। তবে ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার এক বছর পরে ট্রাম্প বলছেন, নেতানিয়াহু আসলে একজন অবিশ্বাসী মানুষ। আর তার বিপরীতে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস অসাধারণ একজন।
সম্প্রতি প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, নেতানিয়াহু অবিশ্বাসী। গত বছরের নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জো বাইডেনকে শুভেচ্ছা জানানোর কারণে এ মন্তব্য করেন ট্রাম্প। তিনি অনবরত দাবি করে যাচ্ছিলেন, নির্বাচনে ত্রুটি হয়েছে, কারচুপি হয়েছে, নইলে তিনিই জয়ী হতেন।
ট্রাম্প মন্তব্য করেন, ফিলিস্তিনিদের সাথে একটি শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে নেতানিয়াহু কখনোই সিরিয়াস ছিলেন না। আমি মনে করি না তিনি কখনো শান্তি স্থাপন করতে চেয়েছিলেন। আমি তাকে একবার বলেছিলাম, আপনি চুক্তি করতে চান না? জবাবে তিনি ‘আচ্ছা, উহ, উহ’ বলে থেমে যান। বাস্তবতা হল, আমি মনে করি না নেতানিয়াহু কখনো ফিলিস্তিনের সাথে কোনো শান্তি চুক্তি করতে চেয়েছেন।
অন্যদিকে ফিলিস্তিনি জাতীয় কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের প্রশংসা করেছেন ট্রাম্প। তাকে অসাধারণ এক ব্যক্তি উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাহমুদ আব্বাস শান্তির পথে কোনো বাঁধা নন। আমি মনে করি, একটা চুক্তি করতে তিনি নেতানিয়াহুর চেয়ে বেশি আগ্রহী।
তবে আব্বাসের কিঞ্চিত সমালোচনাও করেছেন ট্রাম্প। বলেন, আব্বাস জনসমক্ষে কথা বলেন ‘যুদ্ধবাজ’ ভঙ্গিতে। তবে মুখোমুখি বৈঠকে বন্ধুত্বপূর্ণ সুরেই তিনি কথা বলেন।