রবিউল ইসলাম রেজা:
উত্তর বঙ্গের সবচেয়ে বেশি অবহেলিত জনপদ কুড়িগ্রাম জেলা। যুদ্ধের পর থেকে প্রতিবছর দারিদ্রের দিক থেকে ১ম হয়ে আসছে এ কুড়িগ্রাম জেলা।
কুড়িগ্রাম শহরের পাশেই কুড়িগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন অবস্থিত। ব্রিটিশ শাসনের সময় থেকে কুড়িগ্রাম এ ট্রেন চলাচল ছিলো। কুড়িগ্রাম এর সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে সরাসরি ভারতের আসাম রাজ্যে যোগাযোগ ছিলো। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে সেই যোগাযোগ বন্ধ হয়ে লোকাল স্টেশন হিসাবে ব্যবহৃত হতো। এরমধ্যে ২ টি লোকাল ট্রেন থাকলেও সেই লোকাল ট্রেন দুটির ১ টি বন্ধ হয়ে আছে।
সম্প্রতি কয়েকবছর আগে (কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস) নামে নতুন একটি (আন্তঃনগর) ট্রেন চালু করা হয়। যা কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকা চলাচল করে। সেই আন্তঃনগর ট্রেনটি চালু হওয়ার পর কুড়িগ্রাম এর জন্য বরাদ্দকৃত আসন সংখ্যা হলো মাত্র ২০০। যা যাত্রী চাহিদার তুলনায় নগন্য।
নাম সর্বস্ব স্টেশনের উন্নয়ন মূলক কাজ করা হয়, এতে করে প্রতিদিনই যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বৃষ্টির সময় যাত্রী ছাউনি থেকে বৃষ্টির পানি পরে মালামাল ভিজে যাওয়া, কয়েকশ যাত্রী প্রতিদিন চলাফেরা করলেও (টয়লেট মাত্র ১টি) যা সব থেকে বড় সমস্যায় রুপ নিয়েছে। এছাড়াও পর্যাপ্ত বসার স্থান ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা নেই ।
যাত্রীদের অভিযোগ বছরের পর বছর পার হলেও রেলওয়ে স্টেশনের প্রয়োজনীয় উন্নয়ন হচ্ছে না এবং লোকাল ট্রেন দুটির মধ্যে ১টি বন্ধ করে রাখা হয়েছে।
নাজমুল নামে একজন যাত্রী বলেন, আমাদের স্থানীয় সিন্ডিকেটের কবলে আমাদের কুড়িগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন, আমরা এর সুষ্ঠ পরিচালনার জোর দাবী জানাই।
এ ছাড়াও স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করে বলেন, ডিজিটাল স্টেশন স্থাপন ও লোকাল দু’টি ট্রেন চালু সহ কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস এর পর্যাপ্ত আসন বরাদ্দের দাবী জানাই।
এন.এইচ/
3 thoughts on “বেহাল অবস্থায় কুড়িগ্রাম রেলওয়ে-স্টেশন”
সংস্করণের দাবি জানাচ্ছি,সরকারের প্রতি
সংস্করণের দাবি জানাচ্ছি,সরকারের প্রতি
সংস্কার চাই