সমৃদ্ধ শিক্ষা ব্যবস্থাপনা প্রণয়ন ও সংস্কার একটি জাতির মৌলিক দায়িত্ব। প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত নতুন শিক্ষাক্রমে ইসলাম ও ধর্মীয় শিক্ষাকে সংকোচন করে নাস্তিক্যবাদ চর্চার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে।
০৩ জুলাই ২০২২ রবিবার বিকেলে এক যৌথ বিবৃতিতে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল করীম আকরাম ও সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মুহাম্মাদ আল-আমিন নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে উপর্যুক্ত মন্তব্য করেন।
নেতৃদ্বয় বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমে প্রাক-প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত যে দশটি মূল যোগ্যতা অর্জন করবে বলা হয়েছে, তন্মধ্যে অন্যতম হলো ধর্মীয় অনুশাসন, সততা, নৈতিক গুণাবলি ও শুদ্ধাচার অনুশীলনের মাধ্যমে প্রকৃতি এবং মানব-কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করতে পারা। যা ধর্মীয় শিক্ষা ও মৌলিক বিষয় হিসেবে গণ্য হওয়ার যৌক্তিক কারণ থাকলেও সামষ্টিক মূল্যায়নে তা অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
নেতৃদ্বয় নতুন এই শিক্ষাক্রমে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করে শিক্ষার সর্বস্তরের প্রতিনিধিদের নিয়ে দেশের হাজার বছরের চর্চিত ইসলাম বিধৌত বাঙালি সংস্কৃতির মিশেলে বাস্তবসম্মত ও সর্বমহলে সমাদৃত একটি সমৃদ্ধ শিক্ষাক্রম প্রণয়নের আহ্বান জানান।
নতুন শিক্ষাক্রমে ইসলাম ও ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক ও মূল্যায়িত করা না হলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে নিয়ে দেশব্যাপী গণআন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দেন নেতৃদ্বয়।