কর্ণাটকে হিজাব বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটাতেই এবার বোরকা নিয়ে নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে। বোরকা পরে আসায় এক স্কুলছাত্রীকে পরীক্ষায় বসতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) কর্ণাটকের বাগালকোট জেলার একটি পরীক্ষাকেন্দ্রে এমন ঘটনা ঘটে।
ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, কর্ণাটকের হুবলি জেলার একটি কেন্দ্রে আজ এক ছাত্রী বোরকা পরে পরীক্ষা দিতে এসেছিল। তাকে পোশাক বদলে আসতে বলা হয়। ওই ছাত্রী সেই নির্দেশ মেনে পোশাক পাল্টে আসার পরেই তাকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়। তবে কর্তৃপক্ষ এজন্য ছাত্রীটিকে অতিরিক্ত সময় বরাদ্দ করেছে।
একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে বাগালকোট জেলার একটি পরীক্ষাকেন্দ্রেও। সেখানেও পরীক্ষার্থী ছাত্রীকে বোরকা খুলে আসতে বলে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সেই নির্দেশ মেনে নেয়নি ওই ছাত্রী। এমনকি পরীক্ষায় বসেনি সে।
বিজেপি-শাসিত কর্ণাটকের একাধিক মন্ত্রী জানান, পরীক্ষার সময়ে হিজাব নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে চলবে সরকার।
রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরাগা জ্ঞানেন্দ্র জানান, নিয়ম ভাঙলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকার এ বিষয়ে কোনো আপস করবে না। পরীক্ষা দেওয়া যাবে হিজাব খুলে রেখেই।
শিক্ষামন্ত্রী বি সি নরেশ বলেছেন, সরকারি নিয়ম ভাঙলে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। কর্ণাটকে ৮ লাখ ৭৪ হাজার পড়ুয়া এ বছর দশম শ্রেণির পরীক্ষায় বসেছে।
হিজাব নিয়ে কর্ণাটক হাইকোর্টের রায়কে পরীক্ষার সময়ে রূপায়ণ করতে নেমেছে রাজ্য সরকার। আর ওই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড। শীর্ষ আদালত অবশ্য বিষয়টি নিয়ে দ্রুত শুনানি করতে রাজি হয়নি। গত সপ্তাহেই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জানান, এই বিষয়টির সঙ্গে পরীক্ষার কোনো সম্পর্ক নেই।