ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সবকিছুর চর্চা হতে পারলে ইসলামের চর্চা হতে পারবে না কেন? কেন মহিলাদের নামাজের জায়গা উচ্ছেদ করা হয়েছে? ‘প্রধানমন্ত্রী তাহাজ্জুদ পড়েন’ তার ক্ষমতা থাকাকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নামাজে জায়গা উচ্ছেদ হয়, তাহলে প্রধানমন্ত্রীর নামাজ পড়ার মানে কী? এসব কিছু জনগণকে ভাবিয়ে তুলেছে।
তিনি বলেন, দেশ এক ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। সরকারের ছত্রছায়ায় নাস্তিক্যবাদী শক্তিগুলো তৎপর হয়ে উঠছে।
তিনি বলেন, ওই শক্তিগুলো ইসলামপন্থিদের সরকারের মুখোমুখি হিসেবে দাঁড় করানোর ব্যর্থ চেষ্টা করছে। পহেলা বৈশাখ এটা হিন্দুদের একটি ধর্মীয় উৎসব। হিন্দুয়ানী উৎসবকে সার্বজনীন করার জন্য নাস্তিক্যবাদীদের পরামর্শে মঙ্গল শোভাযাত্রা দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে দিচ্ছে। যা বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের চিন্তা-চেতনা পরিপন্থি।
শনিবার ১৬ এপ্রিল বিকেলে রাজধানীর কোতোয়ালীস্থ একটি মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কোতোয়ালী থানা শাখা আয়োজিত রমজানের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সংগঠনের কোতোয়ালী থানা সভাপতি বীল মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে সেক্রেটারী মুহাম্মদ জাকির হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সদস্য সম্মেলন ও ইফতার মাহফিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংগঠনের ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, জয়েণ্ট সেক্রেটারী ডা. শহিদুল ইসলাম, আহমদ বাওয়ানী স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন মুন্সি, মাওলানা আশরাফ আলী।
তিনি বলেন, টিপ নিয়ে টিপপন্থিরা দেশময় জেহাদ শুরু করেছে, সেই টিপপন্থির হাতেই হিজাব নিয়ে কটুক্তি হয়, হিন্দু শিক্ষিকা মুসলিম শিক্ষার্থীদের পিটিয়ে আহত করলে কেবলমাত্র হিজাব পরার অপরাধে। তার কোন জবাবদিহি হয় না কিংবা শাস্তি হয় না। এই কী প্রধানমন্ত্রীর নামাজ পড়ার নমুনা? সবধরণের উস্কানী বন্ধ না হলে ঈমান ও আমলের স্বার্থেই জনগণ ময়দানে নেমে আসতে বাধ্য হবে।
এন.এইচ/