রাজারবাগ দরবার শরিফের পীর দিল্লুর রহমান এবং দরবার শরিফের সম্পদ ও ব্যাংক হিসাব তদন্ত করা সংক্রান্ত আদেশের বিরুদ্ধে করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টে রিট মামলার একজন বিবাদী মোহাম্মদ মফিজুল ইসলামের করা আবেদনটি মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) খারিজ করে দেন আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।
আদালতে মফিজুল ইসলামের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মুরাদ রেজা। রিটকারীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও শিশির মনির।
পরে শিশির মনির বলেন, হাইকোর্টের আদেশ বহাল রয়েছে। এর মানে হচ্ছে রাজারবাগ দরবার ও পীর সংক্রান্ত তদন্ত চলবে।
মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ এনে রাজারবাগের পীর ও তার মুরিদদের বিরুদ্ধে অন্তত ৮ ভুক্তভোগী গত ১৬ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে এ রিট আবদেন করেন। ওই রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে ১৯ সেপ্টেম্বর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
রুলে আবেদনকারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা ও হয়রানিমূলক ক্রমাগত ফৌজদারি মামলা দায়েরে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন। এ রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় আবেদনকারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন হয়রানিমূলক মামলা দায়েরের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত ও প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে সিআইডিকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
আদেশে রাজারবাগের কথিত পীর দিল্লুর রহমান ও তার প্রতিষ্ঠানগুলোর নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে যেসব সম্পদ রয়েছে, তা নির্ণয় করে সম্পদের উৎস সম্পর্কে দুর্নীতি দমন কমিশন এবং পীর ও তার পৃষ্ঠপোষকতায় উলামা আঞ্জুমান বাইয়িন্যাত অথবা ভিন্ন কোনো নামে কোনো জঙ্গি সংগঠন আছে কিনা, সে বিষয়ে ৩০ নভেম্বরের আগে একটি প্রতিবেদন দিতে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে মফিজুল ইসলাম আপিল বিভাগে আবেদন করেন। যেটি মঙ্গলবার খারিজ হয়ে যায়।