সারি সারি খুঁড়ে রাখা নতুন কবর। পাশেই কয়েকদিন আগের খোঁড়া কবরে গজিয়েছে সবুজ ঘাস। নেমপ্লেটে চকচক করছে মৃতের নাম। নতুন কোনও লাশ এলেই একে একে পূরণ হবে পাশের খালি কবরগুলো।
রায়েরবাজার কবরস্থানটিতে এমন খুঁড়ে রাখা কবর আগে দেখা যায়নি। মহামারি বদলে দিয়েছে সব। কবরস্থানে ঢুকলেই যেন জেঁকে ধরে একরাশ বিষণ্ণতা।
সাধারণত মুসলমান কেউ মারা যাওয়ার পরই শুরু হয় দাফনের আনুষ্ঠানিকতা। কবর খোঁড়া থেকে শুরু করে বাঁশ কাটা; ব্যস্ততা বাড়ে গোরখোদকদের।
কিন্তু রাজধানীর বড় এই কবরস্থানের চিত্র ভিন্ন। আগেই অন্তত ২৫টি কবর খুঁড়ে রাখা হয়েছে করোনা ব্লকে। দেখে মনে হবে, কবরগুলো যেন অপেক্ষা করছে লাশের জন্য।
কবর জিয়ারত করতে আসা অনেকেই বিষণ্ণ চোখে তাকিয়েছিলেন খোঁড়া কবরগুলোর দিকে। কেউ দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলছেন, আহা করোনা! আহা মৃত্যু!
না জানি কার শেষ ঠিকানা হতে চলেছে কবরগুলো! তারা আরও বললেন, ওই লোক হয়তো এখনও জানেই না যে এ কবরগুলোর একটি তার জন্যই অপেক্ষা করছে। কারণ করোনার ছোবল এতোই মারাত্মক যে, দুদিন আগেও বোঝার উপায় নেই, লোকটা বাঁচবে না মরবে।