পাকিস্তানের ইসলামাবাদে আফগান দূতাবাস পরিচালনার জন্য রাষ্ট্রদূত পাঠিয়েছে তালেবানের নেতৃত্বাধীন আফগান সরকার। এছাড়া পেশোয়ার, কোয়েটা এবং করাচির জন্য তিনজন কনসাল জেনারেল নিয়োগ করেছে তালেবান। শুক্রবার তালেবান নেতারা এ তথ্য জানিয়েছে।
দ্য নিউজ জানায়, তালেবানের এক সিনিয়র নেতা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, যদিও পাকিস্তান সরকারিভাবে আমাদের সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি। আমরা আফগানিস্তানের ভিসা পেতে আগ্রহীদের সুবিধার্থে ইসলামাবাদে আমাদের কূটনীতিকদের পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কাবুলের পাকিস্তানি দূতাবাসে কূটনীতিকদের ভিসা দেওয়া হয়েছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই নেতা বলেন, মোহাম্মদ শোকাইবকে ইসলামাবাদে আফগান দূতাবাসে ফার্স্ট সেক্রেটারি বা চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কাবুলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালেবান সূত্রে জানা গেছে, তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মৌলভি আমির খান মুত্তাকি পাকিস্তানে তিনজন কূটনীতিকের নিয়োগ অনুমোদন করেছেন এবং তাদের পরিচয়পত্রে স্বাক্ষর করেছেন।
তালেবান জানিয়েছে, আফগানিস্তানের ভিসার ক্রমবর্ধমান চাহিদার ভিত্তিতে কূটনীতিক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর বেশিরভাগই উন্নয়ন খাতের অন্তর্গত। তালেবানের মতে, মোহাম্মদ শোকাইব একজন সার্বক্ষণিক দূত নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করবেন। ইসলামাবাদে থাকা আফগান দূতাবাস চলতি বছরের জুলাই থেকে রাষ্ট্রদূত ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছিল।
সাবেক আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির সরকার ইসলামাবাদ থেকে তাদের রাষ্ট্রদূতকে ফেরত নিয়েছিল। তৎকালীন রাষ্ট্রদূত নাজিবুল্লাহ আলিখিলের মেয়ে মিসেস সিলসিলা আলিখিলকে অপহরণের প্রতিবাদ হিসেবে কাবুল ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
তালেবান জানিয়েছে, হাফিজ মহিবুল্লাহকে পেশোয়ার কনস্যুলেট জেনারেল, করাচিতে মোল্লা মোহাম্মদ আব্বাস এবং কোয়েটায় মোল্লা গোলাম রসুলকে কনসাল জেনারেল হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। পাকিস্তানই প্রথম দেশ যারা তালেবানের সঙ্গে কূটনৈতিক কার্যক্রম পুনরায় শুরু করতে পদক্ষেপ নেয়।