আব্দুল জব্বার মাহমুদী, মাগুরা প্রতিনিধি:
মাগুরার চাষিরা ক্ষেত থেকে পেঁয়াজ তোলা এবং বিক্রিতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। পেঁয়াজের ভরা মৌসুমে বর্তমানে বাজারে সরবরাহ বেশি থাকায় পেঁয়াজের দাম কম। তাই উৎপাদন খরচ বাদে লাভ না হওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন এ জেলার কৃষকরা।
কৃষি বিভাগ বলছে, পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা যেমন ছাড়িয়েছে, তেমনি পেঁয়াজের ফলনও ভালো হয়েছে। তবে পেঁয়াজ সংরক্ষণ করতে পারলে লাভবান হবেন কৃষকরা।
কৃষি বিভাগ সূত্রে আরও জানা গেছে, চলতি বছর জেলায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও প্রায় সাড়ে ১১ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। সব ধরনের প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা কাটিয়ে দেশের অন্যান্য জেলার মতো মাগুরা সদর ও শ্রীপুর উপজেলাসহ জেলার অধিকাংশ ক্ষেতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে।
মাগুরায় বারি পেঁয়াজ-১ ও লালতীর কিংসহ দেশীয় জাতের বিভিন্ন পেঁয়াজের উৎপাদন ভালো হয়েছে। ভালো ফলন হওয়ায় প্রতি শতকে প্রায় এক থেকে দেড় মণ পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে।
মাগুরা শ্রীপুর উপজেলার পেঁয়াজ চাষি মোঃ বসীর মাহমুদ জানান, আমি ২ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছি। ফলন ভালো হয়েছে। যে দাম তাতে উৎপাদনের খরচও উঠছে না।
একতা কাঁচাবাজার সহ মাগুরার অন্যান্য কাঁচা বাজারে প্রতি মণ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯৫০ টাকার দরে। প্রতিদিন একতা কাচাঁবাজার থেকে ১০ থেকে ১২ ট্রাক পেঁয়াজ ঢাকা, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে।
হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম কমে যাওয়ায় পেঁয়াজের পাইকারি ক্রেতাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। তাই সরকারের কাছে তাদের দাবি দাম স্বাভাবিক পর্যায় আনার।
মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবার জেলায় পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছড়িয়ে গেছে। সারাদেশে পেঁয়াজের ফলন ভালো হওয়া দাম একটু কম। তবে ৬ মাস পর্যন্ত পেঁয়াজ সংরক্ষণ করতে পারলে ভালো দাম পাবেন বলে কৃষকরা আশা করছেন।
এন.এইচ/
1 thought on “মাগুরায় বাম্পার ফলনেও হতাশা কাটছে না পেঁয়াজ চাষিদের”
চাষি ভাইদের দুরাবস্থার অবসান ঘটবে কবে 🥲