বিশ্বের মধ্যে অন্যতম সম্প্রীতির দেশ হিসেবে বাংলাদেশ খ্যাতি অর্জন করেছে। বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি সমুন্নত করছে বাংলাদেশের হাফেজ, ক্বারী এবং আলেম সমাজ।
আজ (২২ মে) রবিবার বিকেলে রাজধানীর শ্যামপুর বরইতলা মাঠে বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি কদমতলী থানা শাখা আয়োজিত বিশাল ইসলামী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নায়েবে আমীর মুফতি ফয়জুল করীম একথা বলেন।
তিনি বলেন, ওয়াজ মাহফিল দেশের হাজার বছরের একটি সংস্কৃতি। ওয়াজ মাহফিল শান্তি-সমৃদ্ধি, আদর্শ সমাজ গঠন ও সমাজ সংস্কারের অন্যতম মাধ্যম। এর মাধ্যমে মানুষকে ইহকালীন ও পরকালীন কল্যাণের পথনির্দেশ করা হয়। সমাজের সকল অনাচার, অন্যায় এবং ভুল থেকে ফিরিয়ে মানুষকে সৎপথে ও কল্যাণের পথে চলতে উদ্ধুদ্ধ করা হয়। ইসলামী আলোচকগণ ধর্মের বিশুদ্ধ বার্তা মানুষের দ্বারেদ্বারে পৌঁছে দেয়ার জন্য বহুমুখী ত্যাগ তিতিক্ষা করে থাকেন। মদ. জুয়া, ঘুষ, দুর্নীতি, চুরি-ডাকাতির বিরুদ্ধে ওয়াজ করার কারণে অনেক মানুষ তা ছেড়ে পরিশুদ্ধ জীবন যাপনে অভ্যস্ত হচ্ছেন। আর ওলামায়ে কেরাম কোনভাবেই সন্ত্রাস ও দুর্নীতির সাথে জড়িত নয়। যারা গণকমিশনে আছে তারাই সবচেয়ে বড় দুর্নীতিবাজ ও অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত। এ সংস্কৃতি ধ্বংস করতে যারা কাজ করছে তারা আর যাই হোক, দেশপ্রেমিক ঈমানদার হতে পারে না।
মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, গণকমিশনের উস্কানীমূলক ও বানোয়াট বক্তব্যের কারণে দেশে চরম অশান্তি সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা করছেন। অতএব যারা এসব উস্কানীমূলক কর্মকাণ্ড করছে, সরকারকে তাদের শক্ত হাতে দমন করতে হবে। গণকমিশন নামে একটি দেশবিরোধী শক্তি দেশকে অনিশ্চিত গন্তব্যে ঠেলে দিতে চাচ্ছে। তারা দেশের সম্মানিত ১১৬জন আলেম এবং ১০০০ মাদরাসার তালিকা করে দেশের সংবিধানবিরোধী কাজ করছে। এজন্য তথাকথিত গণকমিশনকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। ওই অপশক্তি সাম্প্রদায়িকতাকে উসকে দিতে কাজ করছে। এধরণের দেশ ও ইসলামবিরোধী কর্মকান্ড রুখে দিতে এখনই সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এতে আরো বয়ান পেশ করেন মাওলানা ক্বারী মাসউদুর রহমান চাঁদপুরী, মাওলানা আলী আল-কারিমীসহ অন্যান্য ওলামায়ে কেরাম।






