চাঁদপুর প্রতিনিধি:
দেশে দ্বিতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পূর্ব থেকে সারা দেশের ন্যায় চাঁদপুর জেলাতেও সবগুলো ইউনিয়নে প্রার্থী দেয়ার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১১ নভেম্বর/২১ নির্বাচনে চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ হাতপাখা প্রতিকের প্রার্থী চূড়ান্ত করে মনোনয়ন ফরম উত্তোলন ও জমা দেয়া হয়। যা পরবর্তিতে জেলা নির্বাচন অফিসার কতৃক বৈধ বলে ঘোষণা দেয়া হয়। ২৭ অক্টোবর প্রতীক বরাদ্দ এবং ২৬ অক্টোবর প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষদিন তফসিলেই উল্লেখ রাখা হয়েছে।
যেহেতু চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নেই হাতপাখা প্রতিকের প্রার্থীদের মনোনয়ন বৈধ বলে ঘোষণা দিয়েছে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সে হিসেবে নির্বাচনী মাঠে থাকার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন সকল প্রার্থী।
কয়েকটি ইউনিয়নে প্রার্থীতা বাতিলের জন্য পূর্ব থেকেই নানাভাবে ভয়ভীতি, হুমকি, ধমকি দিয়ে আসছে আওয়ামীলীগ প্রার্থীর লোকজন। প্রার্থীর মনোনয়ন যাচাই বাছাইয়ের দিন ৭নং তরপুরচন্ডী ইউনিয়নের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থীকে নির্বাচন কর্মকর্তার অফিসে আসতে দেয়নি তারা। সবকিছু ঠিক থাকায় হাতপাখা প্রতীকের সব প্রার্থীর মনোনয়নই বৈধতা পায়। এরপরই শুরু হয় প্রার্থীতা প্রত্যাহারে চাপ প্রয়োগ। বিনা ভোটে জয়লাভের আশায় গত কয়েকদিনে প্রার্থী এবং প্রার্থীর প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারীকে নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের লোকজন। সবশেষে তারা জেলা সভাপতি, সেক্রেটারীকেও প্রার্থী প্রত্যাহারের জন্য অন্যায় আবদার করে।
যেহেতু নির্বাচনে আমাদের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র নির্বাচনের জন্য কমিশন কতৃক বৈধতা রয়েছে সে হিসেবে আমরা নির্বাচন থেকে সরে আসার কোন সুযোগ নেই। জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিতে বিরোধী প্রার্থীদের প্রার্থীতা প্রত্যাহারের জোরজবরদস্তি, হুকমি, ধমকি নির্বাচন নিয়ে তামাশার বাস্তব চিত্র। আমরা এ হীন অনৈতিক আবদারের তীব্র নিন্দা জানাই। সেই সাথে নির্বাচনী মাঠে সব প্রার্থীর সমান সুযোগ নিশ্চিত করনে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে জোর দাবী জানাই।
গতকাল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা সভাপতি শেখ মোঃ জয়নাল আবেদিন ও জেলা সেক্রেটারী কে.এম ইয়াসিন রাশেদসানী এক যৌথ বিবৃতিতে সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থীদের উপর আওয়ামীলীগের হুমকি, ধমকি ও জোরপূর্বক প্রার্থীতা প্রত্যাহারের অন্যায় ও অনৈতিক আবদারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে উপরিউক্ত কথা বলেন।