গতকাল সোমবার নেপালের দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে স্বাগতিক নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো নারীদের সাফের চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। এ নিয়ে এবার নিজের বক্তব্য জানিয়েছেন প্রখ্যাত ইসলামিক স্কলার শায়খ আহমাদুল্লাহ।
মঙ্গলবার(২০ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে তিনি এ বিষয়ে ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করেন।
প্রেজেন্ট নিউজ পাঠকদের জন্য শায়খ আহমাদুল্লাহর ফেসবুক পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো–
‘মহিলা ফুটবল দলের শিরোপা জেতায় যারা অতি উৎফুল্ল, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় পর্দানশীন মেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করার ঘটনায় তাদের এতো উৎফুল্ল হতে দেখা যায় নি কেন? তবে কি তাদের লক্ষ্য নারীর উন্নতি নাকি উন্নয়নের নামে নারীর উন্মুক্ত উপস্থাপন?’
‘যারা নারী ফুটবলারদের দিয়ে ‘নারীবাদ-ধর্মবিদ্বেষ’ কায়েম করতে চাইছেন, তাদের ভাবখানা এমন যেন মহিলা ফুটবল দল নেপালের বিরুদ্ধে খেলতে নামে নি, বরং ইসলামের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছিল! বাস্তবতা হলো, এদেশের মানুষ ধর্মপরায়ণ। খেলোয়াড়রাও এর বাহিরে নন। ‘
‘আপনারা যাদের ‘ইউজ’ করে ইসলামবিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন, তাদের অধিনায়ক বিশ্বাস করেন, জয়-পরাজয় আল্লাহর হাতে। আরেকজন মাকে ফোন করে নামাজ পড়তে, রোজা রাখতে বলেন। এক খেলায় তো পুরো দল সিজদায় লুটিয়ে পড়েন। এ থেকে পরিষ্কার যে, তারা মুসলমানের সন্তান। তারা আমাদেরই বোন। যারা পাহাড়ী আছেন, তারাও আমাদেরই অংশ। তারা হয়তো আল্লাহর বিধান সম্পর্কে খুব বেশি জানেন না। তাছাড়া এসব মেয়েরা নিতান্ত গরীব ঘরের সন্তান। যদি তারা একটু সচ্ছল ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হতেন তাহলে তাদের কয়জন ফুটবলকে পেশা হিসেবে বেছে নিতেন সেটা প্রশ্ন সাপেক্ষ বিষয়।’
‘সুতরাং এদের দিয়ে ইসলাম বিদ্বেষ ও আলেমদের প্রতি ঘৃণার চাষাবাদ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের এই দেশে সফল হবে না। বরং তাদের মধ্যে সামান্য দা’ওয়াতী কাজ করা গেলে এরা একেকজন হাজারো মানুষের হেদায়েতের কারণ হতে পারেন ইন শা আল্লাহ।’
‘তবে এটা সত্য যে, যেটাকে খেলা বলা হচ্ছে সেটা মূলত: একটা সাংস্কৃতিক যুদ্ধ। সেই যুদ্ধে যাদের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে অনেক সময় তারা নিজেরাও জানেন না যে, সামান্য পয়সার বিনিময়ে তাদের কোন্ কাজে ইউজ করা হচ্ছে। মহান আল্লাহ তাদের ও ইসলামের প্রতি বিদ্বেষ লালনকারীদের হেদায়েত দান করুন।’