আল আমীন, ভোলা জেলা প্রতিনিধি:
উদ্ভাবনী বাংলাদেশ বিনির্মাণে জনগণের দোরগোড়ায় সহজে, দ্রুত ও স্বল্প ব্যয়ে সরকারি সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ২০১০ সালের ১১ নভেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ৪৫০১টি ইউনিয়নে একযোগে ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র উদ্বোধন করেন যা বর্তমানে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার (UDC) নামে সুপরিচিত।
সফল উদ্যোক্তা হওয়া একটা স্বপ্ন। কিন্তু স্বপ্নের পথে পা বাড়ালেই একের পর এক আসতে থাকে প্রতিবন্ধকতা। যে ব্যক্তি এসব প্রতিবন্ধকতা ডিঙিয়ে এগিয়ে যাবেন তিনিই হবেন সফল। আজ এমনই একজন সমাজ সেবকের কথা জানাচ্ছি- যিনি অনেক বাধা ও প্রতিবন্ধকতা ডিঙিয়ে একজন সফল ব্যক্তি (উদ্যোক্তা) হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।
তিনি হলেন, ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়ন এর সফল উদ্যোক্তা(udc)এবং ব্যাংক এশিয়ার এজেন্ট মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন।
ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র নামে পরিচিত, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার (UDC) সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা পূরণে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন। তারপরও মানুষের প্রত্যাশা থাকে। তিনি তার পরিশ্রম, সাহস, ইচ্ছাশক্তি, একাগ্রতা আর প্রতিভার সমন্বয়ে সাধারণ মানুষের সেবা প্রদানের জন্য স্থানীয় সরকারের তথ্য সেবা কেন্দ্রিক সকল সেবা সুচারুভাবে বাস্তবায়নের জন্য, সর্বোপরি শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের যে স্বপ্ন রয়েছে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
২০১০ সাল থেকেই সকলের সহযোগিতা পাচ্ছেন এবং সহযোগিতার আশাও ব্যক্ত করে চলেছেন। এ ব্যক্তি তার বয়স ও অভিজ্ঞতা দুটিকেই হার মানিয়েছেন। তার কর্মকাণ্ডে মনে হয় তিনি তথ্য সংক্রান্ত সকল বিষয়ে পারদর্শী । তার অভিজ্ঞতা রয়েছে অনেক।
এ সকল সফল মানুষের পেছনে থাকে অল্প কিছু গল্প, তা অনেকটা রূপকথার মতো। আর সেসব গল্প থেকে মানুষ খুঁজে নেয় স্বপ্ন দেখার সম্বল, এগিয়ে যাওয়ার জন্য নতুন প্রেরণা। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই উল্লেখযোগ্য কিছু কাজ করে অগ্রণী ভূমিকা রেখে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন। এলাকার হতদরিদ্র মানুষের বয়স্ক ভাতা, জন্মনিবন্ধন, বিধবা ভাতা, মাতৃকালীন ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা ইত্যাদি তথ্য সেবায় তাঁর নিরন্তর প্রয়াস সব মহলেই প্রশংসা কুঁড়িয়েছে।
এছাড়াও তিনি নিয়োগ হওয়ার পর নিয়মিত অফিস করেছেন এবং স্থানীয় সরকারের সকল তথ্য সেবা সার্বিক তত্ত্বাবধানে প্রতিটি উন্নয়নমূলক কাজ অতি দক্ষতার সাথে সফলভাবে করেছেন যা এখনো চলমান আছে। এযাবতকাল তিনি প্রায় ১২ হাজারের অধিক জন্মনিবন্ধন, ৫শতাধিক বিধবা ভাতা, ১৩শতাধিক বিধবা ভাতা,৩শতাধিক প্রতিবন্ধী ভাতাসহ অন্যান্য ভাতার আবেদন করেছেন যা অধিকাংশ ফ্রীতে যদিও সরকারি রুল অনুযায়ী ফি নেওয়ার একটি ব্যবস্থা রয়েছে। আগামী দিনে শিবপুরের তথ্য সেবা কেন্দ্র জনবান্ধন তথ্যের আশ্রয়স্থল হবে, এমনটাই আস্বস্ত করেছেন (UDC) উদ্যোক্তা নাজিম উদ্দিন।
উল্লেখ থাকে যে, বর্তমানে দেশব্যাপী ৮২৯৭ টি ডিজিটাল সেন্টারে কর্মরত ১৬০৮৭ জন উদ্যোক্তা ব্যাংকিং এবং ই-কমার্স সেবাসহ ৩২০ এর অধিক সরকারি-বেসরকারি সেবা প্রদান করছেন।
ডিজিটাল সেন্টার থেকে ২০২০ সাল নাগাদ মোট সেবা প্রদান করা হয়েছে ৬৮.৪ কোটি। সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে নাগরিকদের ১.৬৮ বিলিয়ন সমপরিমাণ কর্ম ঘন্টা, ৯.২৫ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ খরচ এবং ০.৫ বিলিয়ন সমপরিমাণ যাতায়াত সাশ্রয় হয়েছে। নাগরিকদের জীবনমান পরিবর্তনে ইতিবাচক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ডিজিটাল সেন্টার ২০১৪ সালে ই-গভর্নমেন্ট ক্যাটাগরিতে জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (ITU)-এর ওয়ার্ল্ড সামিট অন ইনফরমেশন সোসাইটি (WSIS) অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছে।
আর.আই/
1 thought on “এক যুগেরও অধিক সময় ধরে সততার সাথে তথ্য সেবা দিয়ে আসছেন; নাজিম উদ্দিন”
Congratulations