রবিবার | ১৩ জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি | ২৯ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | বর্ষাকাল | বিকাল ৫:১৮

রবিবার | ১৩ জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি | ২৯ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | বর্ষাকাল | বিকাল ৫:১৮

শায়খ আহমাদুল্লাহ ‘হা-হা’ রিঅ্যাক্ট নিয়ে যা বললেন

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on pinterest
Share on telegram
  • ফজর
  • যোহর
  • আসর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যদয়
  • ভোর ৩:৫৪ পূর্বাহ্ণ
  • দুপুর ১২:০৭ অপরাহ্ণ
  • বিকাল ১৬:৪৩ অপরাহ্ণ
  • সন্ধ্যা ১৮:৫৩ অপরাহ্ণ
  • রাত ২০:১৮ অপরাহ্ণ
  • ভোর ৫:১৮ পূর্বাহ্ণ

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের মনোভাব প্রকাশে অনেকে বিভিন্ন ‘রিঅ্যাক্ট’ চিহ্ন ব্যবহার করেন। এর মধ্যে ‘লাইক, স্যাড, হা-হাসহ রিঅ্যাক্ট চিহ্ন আছে। এবার ফেসবুকে ‘হা-হা’ রিঅ্যাক্ট ব্যবহার সম্পর্কে সুস্পষ্ট বক্তব্য দিয়েছেন শায়খ আহমাদুল্লাহ।

‘কাউকে নিয়ে ঠাট্টা বা হাসাহাসি করা সম্পর্কে ইসলাম কী বলে? এ প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বিষয়টি তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন-

এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ায়ও এটি ব্যবহার অনেক বেশি দেখা যায়। উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন- কেউ একটি কমেন্ট বা পোস্ট করেছেন; এ পোস্ট বা কমেন্টে তাকে তাচ্ছিল্য করার জন্য সাধারণত ‘হা-হা’ রিঅ্যাক্ট দিয়ে থাকে। তাকে বিদ্রূপ করে।

কথা হলো- যার সঙ্গে বা যার কমেন্ট বা পোস্টে মজা করে ‘হা-হা’ রিঅ্যাক্ট করা হয়; আর কমেন্ট বা পোস্ট যার, তিনিও যদি এটি নিয়ে মজা করেন তবে তা ভিন্ন বিষয়। কিন্তু যদি কাউকে তাচ্ছিল্য বা বিদ্রূপ করার জন্য ‘হা-হা’ রিঅ্যাক্ট করা হয় তবে তা হারাম বা নিষিদ্ধ। এটি পুরোপুরি নাজায়েজ একটি কাজ।

আল্লাহ তাআলা কাউকে তাচ্ছিল্য বা বিদ্রূপ করা সম্পর্কে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন-

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا یَسۡخَرۡ قَوۡمٌ مِّنۡ قَوۡمٍ عَسٰۤی اَنۡ یَّکُوۡنُوۡا خَیۡرًا مِّنۡهُمۡ وَ لَا نِسَآءٌ مِّنۡ نِّسَآءٍ عَسٰۤی اَنۡ یَّکُنَّ خَیۡرًا مِّنۡهُنَّ ۚ وَ لَا تَلۡمِزُوۡۤا اَنۡفُسَکُمۡ وَ لَا تَنَابَزُوۡا بِالۡاَلۡقَابِ ؕ بِئۡسَ الِاسۡمُ الۡفُسُوۡقُ بَعۡدَ الۡاِیۡمَانِ ۚ وَ مَنۡ لَّمۡ یَتُبۡ فَاُولٰٓئِکَ هُمُ الظّٰلِمُوۡنَ

‘হে ঈমানদারগণ! কোনো পুরুষ যেন অপর কোনো পুরুষকে বিদ্রূপ না করে, হতে পারে তারা বিদ্রূপকারীদের চেয়ে উত্তম। আর কোন নারীও যেন অন্য নারীকে বিদ্রূপ না করে, হতে পারে তারা বিদ্রূপকারীদের চেয়ে উত্তম। আর তোমরা একে অপরের নিন্দা কর না এবং তোমরা একে অপরকে মন্দ উপনামে ডেক না। ঈমানের পর মন্দ নাম কতই না নিকৃষ্ট! আর যারা তাওবা করে না, তারাই তো জালিম।’ (সুরা হুজরাত : আয়াত ১১)

তিনি এক ভিডিওতে আরও বলেন, ‘মুসলমানদের ইজ্জত এবং সম্মান লুণ্ঠন করাকে হারাম করে দিয়েছেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিদায় হজের ভাষণে বলেছেন, এই স্থান, এই মাস ও সময় যেমন আল্লাহর কাছে সম্মানিত; একজন মানুষের ইজ্জত এ রকম আল্লাহর কাছে সম্মানিত। তাই কাউকে তাচ্ছিল্যভরে বিদ্রূপ করা যায় না।

আজকাল ফেসবুকে ‘হা-হা’ রিঅ্যাক্ট দেওয়া একটা নরমাল বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুতরাং যারা আল্লাহর প্রতি ঈমান রাখেন, যারা আখেরাতের আল্লাহর সামনে দাঁড়াতে এ বিশ্বাস রাখেন, যারা বান্দার প্রত্যেকটি ছোটখাটো বিষয় নিয়ে জবাবদিহি করতে হবে এটি বিশ্বাস রাখেন; তারা বিদ্রূপাত্মকভাবে কোনো পোস্টে, কোনো কমেন্টে ‘হা-হা’ রিঅ্যাক্ট দিতে পারেন না বলেও উল্লেখ করেন।

ফেসবুক ব্যবহারকারী সবা মানুষের প্রতি তাঁর আহ্বান-

প্রিয় ভাই এবং বোন আমার, আপনারা আল্লাহর ওয়াস্তে এ কাজটি থেকে বেরিয়ে আসুন। কাউকে নিয়ে বিদ্রূপ করে কোনোভাবেই ‘হা-হা’ রিঅ্যাক্ট দেবেন না। কাউকে কষ্ট দেবেন না। কেউ ভুল করলে সম্ভব হলে সুন্দর ভাষায়, মার্জিত ভাষায়, যুক্তিনির্ভরভাবে তাকে তার ভুল খণ্ডন করে দিন। তাকে বোঝানোর চেষ্টা করুন। যদি তা-ও সম্ভব না হয় তবে এড়িয়ে যান। কিন্তু তাকে নিয়ে বিদ্রূপ করে; তাঁকে হাসির পাত্র বানিয়ে আপনি নিজেই গোনাহগার হচ্ছেন।

তিনি হয়তো একটি ভুল বা ত্রুটি করেছেন। আর আপনি এ ত্রুটিতে ‘হা-হা’ রিঅ্যাক্ট দিয়ে আরেকটি ত্রুটি করলেন।  হতে পারে আপনার ত্রুটি তার ভুলের চেয়ে বেশি জঘন্য। কিংবা বান্দার হক নষ্ট করার মতো বিষয়ও হতে পারে। অথচ বান্দার হক নষ্ট করলে কেয়ামতের দিন আমলনামা থেকে সাওয়াব কেটে নেওয়া হবে।

সুতরাং ফেসবুকে যে কাউকে ‘হা-হা’ রিঅ্যাক্ট দেওয়া থেকে বেঁচে থাকতে হবে।

এছাড়াও তিনি এক কমেন্ট-এ কথাগুলো তুলে ধরেন-

প্রিয় ভাই ও বোন,

বিনোদন ইসলামে নিষেধ নয়। আপনার বিনোদন যেন অন্যের কষ্টের কারণ না হয়। আপনি যাকে হাসির পাত্র মনে করে তাচ্ছিল্য বা ঠাট্টা করছেন এমনও হতে পারে তিনি আল্লাহর কাছে আপনার চেয়ে শ্রেষ্ঠ!

হতে পারে এই মুহুর্তে তিনি ভুল পথে আছেন, কিন্তু এক সময় তিনি সঠিক পথে ফিরবেন আর আপনি গোমরাহ পথে পরিচালিত হয়ে সেই অবস্থায় মৃত্যু হবে!

মহান আল্লাহর কথাটি খেয়াল করুন-

‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের এক গোষ্ঠী যেন অপর গোষ্ঠীকে নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ না করে। কারণ হতে পারে যাকে নিয়ে তুমি বিদ্রূপ করছ, সে তোমার চেয়ে (শেষ পরিণতির বিচারে) শ্রেষ্ঠ! (৪৯/১১)

মহান আল্লাহ আমাদের তাকওয়ার পথে এক পা এক পা করে অগ্রসর হওয়া এবং আত্মসংশোধন করার তাওফিক দান করুন।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on pinterest
Share on telegram

Leave a Comment

সর্বশেষ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যায় গণঅধিকার পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগরের তীব্র নিন্দা ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক- ৯ই জুলাই, বুধবার সন্ধ্যায় মিটফোর্ড হাসপাতাল চত্বরে যুবদল নেতাকর্মীদের হাতে ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে প্রকাশ্য দিবালোকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় গভীর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষদের চট্টগ্রাম মহানগরের সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ ইউসুফ এবং চট্টগ্রাম মহানগরের নেতৃত্ব বৃন্ধ। হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সবাই।

মাওলানা সিহাব উদ্দিনকে সভাপতি ও ইসমাইলকে সম্পাদক করে জাতীয় শিক্ষক ফোরাম’র আকবার শাহ থানা কমিটি গঠন

নিজস্ব প্রতিবেদক – জাতীয় শিক্ষক ফোরাম চট্টগ্রাম মহানগর এর আওতাধীন আকবর শাহ থানা কমিটি গঠিত

জণকল্যানমূলক ফাউন্ডেশনকে রক্ষায় চট্টগ্রামে মানববন্ধন 

নিজস্ব প্রতিবেদক – নগরীর বহদ্দারহাটস্থ আরাকান রোডে ওয়াহিদ ইলেকট্রিশিয়ান’স ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন এর প্রধান কার্যালয়ের সামনে

২০ দফা দাবিতে শিক্ষা উপদেষ্টার সাথে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মতবিনিময় ও স্মারকলিপি

গবেষণাবান্ধব শিক্ষা বাজেট প্রণয়নে প্রস্তাবিত বাজেটের ২০ শতাংশ এবং মোট জিডিপির ৬ শতাংশ বরাদ্দসহ ২০

  • ফজর
  • যোহর
  • আসর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যদয়
  • ভোর ৩:৫৪ পূর্বাহ্ণ
  • দুপুর ১২:০৭ অপরাহ্ণ
  • বিকাল ১৬:৪৩ অপরাহ্ণ
  • সন্ধ্যা ১৮:৫৩ অপরাহ্ণ
  • রাত ২০:১৮ অপরাহ্ণ
  • ভোর ৫:১৮ পূর্বাহ্ণ