একটা সময় ভাঙা চোয়াল নিয়ে অনিল কুম্বলেকে খেলতে দেখেছিল বিশ্ব। আবার গ্রেম স্মিথ খেলেছেন ভাঙা আঙুল নিয়ে। আর এবার ক্রিকেটের ইতিহাসে সাহসিকতার নজির গড়লেন পাক তারকা মহম্মদ রিজওয়ান। আর তার এই মারাত্মক শারীরিক ও মানসিক জোরের নেপথ্যে ছিলেন এক ভারতীয় চিকিৎসক।
চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দুরন্ত হাফ সেঞ্চুরি করেন পাক উইকেটকিপার-ব্যাটার। তার ইনিংস দেখাকালীন অনেকেরই হয়তো জানা ছিল না, তার আগেই দু’দিন হাসপাতালের আইসিইউতে শুয়েছিলেন তিনি। তাই বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেলেও গোটা বিশ্বের ক্রিকেট অনুরাগীদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। তবে এত অল্প সময়ে রিজওয়ানকে এতখানি ফিট দেখে বেশ অবাক হচ্ছেন খোদ তার চিকিৎসকও। দুবাইয়ের এক হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শাহির সইনালাবদিনের তত্ত্বাবধানে ভর্তি ছিলেন রিজওয়ান
আইসিইউ-তে শয্যাশায়ী অবস্থাতেই পাক তারকা বলেছিলেন, আমি খেলতে চাই। এই সময় দলের সাথে থাকতে চাই।
তার অসম্ভব মনের জোর বিস্মিত করেছে চিকিৎসককেও। শাহিরের কথায়, ‘সেমিফাইনালের মতো মরণ-বাঁচন ম্যাচে খেলার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন রিজওয়ান। মানসিকভাবে উনি খুব শক্তিশালী আর আত্মবিশ্বাসী। উনার এত দ্রুত সুস্থ হওয়ার বিষয়টা অবাক করার মতোই।’
উল্লেখ্য, তিন-চার দিন ধরে জ্বর, সর্দি-কাশি, বুকে ব্যথা হওয়ায় শেষমেশ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন রিজওয়ান। সাথে সাথে তার চিকিৎসা শুরু করে মেডিক্যাল টিম। দেখা যায়, স্বরযন্ত্রের সংক্রমণ হয়েছে তার। তাকে সর্বক্ষণ পর্যবেক্ষণে রাখতে আইসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়। অসহ্য যন্ত্রণা সহ্য করেও প্রবল মনের জোরে ভর করেই দ্রুত ২২ গজে ফিরতে সফল হন রিজওয়ান। দল না জিতলেও দেশের হয়ে তার দাঁতে দাঁত চাপা লড়াই নিঃসন্দেহে চিরস্মরণীয় হয়ে রইল।
শাহিরও বলছেন, ‘ওর ব্যাটিং দেখে খুব ভালো লাগল। সাহসিকতার জোরেই অসুস্থতা সারিয়ে এমন অনবদ্য পারফর্ম করলেন রিজওয়ান।’
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন