ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, করোনার রেড জোনে থাকা রাষ্ট্রগুলোতেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে অনেক আগেই। বাংলাদেশে সব কিছু খুলে দেয়া হলেও সরকারের কাছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেন করোনার আঁতুড়ঘর হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। অবিবেচকভাবে বিভিন্ন অজুহাতে ইতিহাসের দীর্ঘ সময় ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার রেকর্ড করেছে বাংলাদেশ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত নিয়ে নোংরা রাজনীতি বন্ধ করে অবিলম্বে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে।
১৪ আগষ্ট শনিবার ঢাকার সেগুনবাগিচাস্থ আত ত্বরিক মিলনায়তনে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা’র অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
শুরা অধিবেশনে সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল করীম আকরাম বলেন, দেশব্যাপী প্রশাসনের মাদক ও নোংরামী বিরোধী অভিযান প্রশংসিত হলেও এক শ্রেণীর লোক তেলেবেগুনে জ্বলছে। প্রশাসনের উচ্চ পর্যায় থেকে যেনা ব্যভিচারের নামমাত্র শাস্তির কথা প্রচার করা একধরনের অনৈতিক কাজের প্রতি তরুনদের উৎসাহ দেওয়ার নামান্তর। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এধরনের বক্তব্য অভিভাবকসহ সচেতন মহলকে হতাশ করেছে। আমরা এধরনের বক্তব্যের নিন্দা জানাচ্ছি।
কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ বলেন, সরকার করোনা ভ্যাক্সিন নিয়ে যে টালবাহানা শুরু হয়েছে তা খুবই দুঃখজনক। উপজেলা ও ইউনিয়নে প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল ভ্যাক্সিন বিতরণ, ভ্যাক্সিনবিহীন খালি সিরিঞ্জ পুশ করা, ভ্যাক্সিন প্রদানে অনিয়ম ও ভোগান্তিই প্রমান করে এদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কতটা ভঙ্গুর। অবিলম্বে শিক্ষার্থীসহ সকল নাগরিকদের ভ্যাক্সিন নিশ্চিত করতে হবে।
সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মুহাম্মাদ আল-আমিন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত শুরা অধিবেশন ও তারবিয়াতে আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল গাজী মুহাম্মাদ ওসমান গনী, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এম এম শোয়াইব, প্রশিক্ষণ সম্পাদক ইউসুফ আহমাদ মানসুর, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক কে এম শরীয়াতুল্লাহসহ কেন্দ্রীয় আমেলা ও শুরা সদস্যবৃন্দ।