রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, বিশ্ব থেকে রাশিয়াকে বিচ্ছিন্ন করা অসম্ভব এবং পশ্চিমাদের সে ক্ষমতা নেই। তাদের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার আগের সময়ও ফিরিয়ে দেবে না। সোমবার একটি ভিডিও কনফারেন্সে দেওয়া বক্তৃতায় পুতিন এসব কথা বলেন। খবর আল জাজিরা।
চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সৈন্য পাঠানোর পর অজস্র পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ে রাশিয়া। বৈশ্বিক অর্থনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন করার লক্ষ্যেই রাশিয়ার ওপর এ সকল নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয। এর দরুন ইলেকট্রনিক্স, সেমিকন্ডাক্টর এবং বিমানের যন্ত্রাংশসহ বহু পণ্যের আমদানি-রপ্তানি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মস্কো।
পুতিন বলেন, নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি বিদেশি হাই-টেক পণ্যগুলোতেও রাশিয়ার বাণিজ্যিক প্রবেশ ইচ্ছাকৃতভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এটা স্পষ্ট যে, এই পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা আমাদের দেশের জন্য একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ। কিন্তু আমরা হাল ছেড়ে দেবো না এবং বিশৃঙ্খল অবস্থায় থাকব না। কেউ কেউ বলেছে আমরা কয়েক দশক পিছিয়ে যাব। কিন্তু অবশ্যই তা ঘটবে না।
এমন অবস্থায় রাশিয়াকে নিজস্ব প্রযুক্তি ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন পুতিন। অনুষ্ঠানে রাশিয়ার অর্থমন্ত্রী আন্তন সিলুয়ানভ বলেন, রাশিয়ান প্রযুক্তি খাত এখন একটি অগ্রাধিকার। তবে রাষ্ট্রীয় সহায়তার প্রতিটি রুবেলের সাথে কমপক্ষে তিন রুবেল বেসরকারি বিনিয়োগ থাকা উচিত।
এদিকে ইইউর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা সোমবার বলেছেন, মস্কোর ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞায় কাজ হচ্ছে। যদিও রাশিয়া ইউরোপে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধের হুমকি দিয়েছে।
গত সপ্তাহে হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান বলেন, ব্রাসেলস মস্কোর চেয়ে ইউরোপকে বেশি আঘাত করছে। ভিক্টর ক্রেমলিনের পক্ষাবলম্বনকারী ইইউ নেতা এবং ব্রাসেলসের চরম সমালোচক। কিছু ইউরোপীয় নেতাও বলেছেন, রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা সিদ্ধান্তটি ভুল ছিল।
তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ কূটনীতিক জোসেফ বোরেল সোমবার নিষেধাজ্ঞা ব্যবস্থায় ত্রুটি চিহ্নিত করে রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
আলোচনার জন্য ইইউ সদর দফতরে সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে আমরা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তা চালিয়ে যাব।






