জবি প্রতিনিধি:
উচ্চ শব্দদূষণ রোধে রাজধানীর শাহবাগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) মার্কেটিং বিভাগের একদল শিক্ষার্থীর উদ্যোগে জনসচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার উক্ত সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়। ক্যাম্পেইনের সার্বিক দিক নির্দেশনায় ছিলেন অত্র বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিদ্যুৎ কুমার বালো।
হাইড্রোলিক হর্ণ ব্যবহার এড়িয়ে চলা এবং অযথা হর্ণ বাজিয়ে শব্দ দূষণের ব্যাপারে গাড়িচালকের সচেতন করাই ছিলো ক্যাম্পেইনটির মূল উদ্দেশ্য।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী, একজন সুস্থ মানুষের শব্দ গ্রহণের সহনীয় মাত্রা ৪০ থেকে ৫০ ডেসিবল। কিন্তু ঢাকায় নির্ধারিত মানদণ্ডের চেয়ে গড়ে প্রায় দেড় গুণ বেশি শব্দ সৃষ্টি হয়। উচ্চমাত্রার শব্দের কারণে মানুষের অনিদ্রা, মাথা ব্যাথা, বধিরতা, হৃদরোগ ইত্যাদি সমস্যার সৃষ্টি হয়। সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী হয় শিশু ও বয়স্করা।
ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণ করা খালিকুজ্জামান খালিদ বলেন, “শব্দ দূষণ একটি জাতীয় ও সামাজিক সমস্যা যার প্রভাব সুদূরপ্রসারী। শব্দ দূষণের বিভিন্ন কারণগুলোর মধ্যে যানবাহনের হর্ণ দ্বারা সৃষ্ট দূষণ অধিকতর ভূমিকা রাখে। আসলে নিজ থেকে সচেতনতা না আসলে শব্দ দূষণ রোধ করা সম্ভব নয়। তারপরও আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করবে বলে আমি আশাবাদী।”
জনৈক পথচারী অনিক বড়ুয়া বলেন, “ যারা এমন ক্যাম্পেইন করছেন তাদের সাধুবাদ জানাই। ছাত্র-ছাত্রীদের উচিত এরকম জনসচেতনতা মূলক কাজ আরও চালিয়ে যাওয়া। সকলের উচিৎ এমন আয়োজনকে উৎসাহ দেয়া।”
একজন গাড়িচালক বলেন , ”শব্দ দূষণ রোধে প্রথমে আমাদের নিজেদের সচেতন হতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষার পাঠ্যপুস্তক- এ শব্দ দূষণের ক্ষতিকারক দিকগুলো উল্লেখ করে শিশুদেরও শব্দ দূষণ নিয়ে সচেতন করা উচিত। ”
কর্তব্যরত পুলিশ সার্জেন্ট ইমাম বলেন, “আমাদের এ সমস্যা বেশি মোকাবেলা করতে হয়। আমাদের অনেক কর্মকর্তা শেষ বয়সে এসে ঠিক মতো কানে শুনতে পায় না।”##
এন.এইচ/