বাংলাদেশের জনগণ রক্ত দিয়ে সংবিধান পরিবর্তন করবে দাবি করে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক ডাকসুর সাবেক ভিপি আমান উল্লাহ আমান বলেছেন, সংবিধান জনগণের জন্য, দেশের মানুষ রক্ত দিয়ে সেই সংবিধান পরিবর্তন করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার আনবে। সেই সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না।
শনিবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলার হল রুমে বাংলাদেশ এলডিপি আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারের পদত্যাগ, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে এই প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়।
বিচারপতি খায়রুল হক আইন কমিশনের কয়বার চেয়ারম্যান হয়েছেন প্রশ্ন করে বিএনপির এই নেতা বলেন, তাকে কেন বার বার চুক্তি ভিত্তিক রাখছেন। কারণ উনি যেটা বলেছিলেন সেটাই শেখ হাসিনা করেছেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রথা বাতিল করেছেন। আর ওবায়দুল কাদের সাহেব গতকাল বলেছেন সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। সংবিধান-৯০ সালে মনে নাই? আন্দোলনে সংবিধান পরিবর্তন হয়েছিল। কি মনে আছে? আপনারা ভোট চুরি করে এমপি নির্বাচন করে সংসদে যে সংবিধান তৈরী করেছেন সেই সংবিধান বাংলাদেশে চলবে না। বাংলাদেশের মানুষ রক্ত দিয়ে সেই সংবিধান পরিবর্তন করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার আনবে। এর বাইরে কোনো কথা নেই।
তিনি বলেন, সংবিধানতো জনগণের জন্য, সংবিধানতো জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। সংবিধানতো জনগণের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। জনগণের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যে। সেই সংবিধানই বাংলাদেশে হবে।
আমান বলেন, খালেদা জিয়া সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী যে কথা বলেছেন তাতে মনে হচ্ছে শেখ হাসিনার ভ্যানিটি ব্যাগের মধ্যে আইন। সেই আইন উনি নিজেই তৈরী করেন, নিজেই প্রয়োগ করেন। খালেদা জিয়াকে দয়া করে মুক্ত করেছেন। আবার বেশি বাড়াবাড়ি করলে ঢুকিয়ে দেবেন। বেশি বাড়াবাড়ি কি? শেখ হাসিনা আপনি নির্বাচন করবেন আর আমরা সে ব্যাপারে কথা বলতে গেলে বাড়াবাড়ি? সেটা যদি বাড়াবাড়ি হয়, এর চেয়েও বেশি বাড়াবাড়ি হবে এ সরকারের পতন ঘটনানোর জন্য।