এক অভূতপূর্ব ঘোষণায় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দৈনিক ছাত্র পত্রিকা ক্রিমসনের সম্পাদকীয় বোর্ড ফিলিস্তিনের মুক্তির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। এক ঘোষণায় তারা জানিয়েছে, অধিকৃত ফিলিস্তিনে যারা সহিংসতার শিকার হয়েছে এবং হচ্ছে তাদের প্রতি আমরা আমাদের আন্তরিক সমর্থন প্রসারিত করতে চাই। খবর জিও নিউজ।
গত শুক্রবার সংবাদমাধ্যমটি নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বয়কট, বিতাড়ন, নিষেধাজ্ঞামুক্ত একটি ফিলিস্তিনের সমর্থনে সম্পাদকীয় প্রকাশ করে। সম্পাদকীয় বোর্ড বলেছে, যখন বিশ্বের যে কোনো জায়গায় নিপীড়ন আঘাত হানে, তখন বিশ্বব্যাপী প্রতিরোধ আন্দোলন সংঘটিত হয়। ন্যায়বিচারের আকাঙ্ক্ষা তখন দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে, যা আমাদের কাজ করতে, কথা বলতে, লিখতে এবং আমাদের অতীতের ভুলগুলো সংশোধন করার দিকে পরিচালিত করে।
সম্পাদকীয়তে আরো বলা হয়, আমরা সর্বপ্রথম যারা অধিকৃত ফিলিস্তিনে সহিংসতার শিকার হয়েছে এবং হচ্ছে, সেইসাথে এই অঞ্চলের যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত যে কোনো বেসামরিক নাগরিকদের প্রতি আমাদের আন্তরিক সমর্থন প্রসারিত করতে চাই। তবে আমরা নিশ্চিত নই, এই শব্দগুলো কীভাবে আপনার কাছে পৌঁছাবে বা আদৌ পৌঁছাবে কি না।
আরো লেখা হয়, আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রতিটি এবং সব ধরনের ইহুদিবাদের বিরোধিতা ও নিন্দা করি, যখন তা অন্যের অধিকারকে বিনষ্ট করে। আমরা মনে করি, ইহুদি জনগণ ফিলিস্তিনিসহ প্রত্যেক মানুষের মতো জীবন, শান্তি ও নিরাপত্তা ছাড়া আর কিছুই পাওয়ার যোগ্য নয়।
সম্পাদকীয়তে আরো বলা হয়েছে, ইসরায়েল আমেরিকার প্রথম পছন্দের স্থানে রয়ে গেছে। এ কারণে যে সব সংস্থা ইহুদি এই রাষ্ট্রটিকে বয়কট করতে চায় অথবা ফিলিস্তিনপন্থী বয়কট ও অনুমোদন আন্দোলনকে সমর্থন করে তারা অন্তত ২৬টি দেশে আইন সমস্যার মুখে পড়ে।
এর ফলে সাংবাদিকদের জন্যও এটি পেশাগত ঝুঁকি তৈরি করে। গত বছর শুধু অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস ইসরায়েলের সমালোচনামূলক টুইটগুলোর জন্য কলেজ-বয়সী একজন সংবাদমাধ্যম সম্পাদককে বহিস্কার করা হয়।
এ সময় তারা অবশ্য জানায়, আমরা ফিলিস্তিনের মুক্তির প্রতি সমর্থন ইহুদিবিরোধী নয় বলে দাবি করারও প্রয়োজন অনুভব করি।