বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপর এবার ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পাকিস্তান। এই তালিকায় রয়েছে আরো ২৫টি দেশ।
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের বিস্তার প্রতিরোধে এই পদক্ষেপ নিয়েছে ইসলামাবাদ। দেশটির ন্যাশনাল কমান্ড অ্যান্ড অপারেশন সেন্টার (এনসিওসি) গতকাল শনিবার এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বলে জানা গেছে।
পাকিস্তানি গণমাধ্যম ডন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, করোনা মোকাবেলায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে তিনটি ক্যাটেগরিতে বিভক্ত করে তালিকা করেছে পাকিস্তান।
তিনি বলেন, পাকিস্তান ভ্রমণের ক্ষেত্রে ‘এ’ ক্যাটেগরির অন্তর্ভুক্ত দেশগুলো আসা মানুষের করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক নয়।
তবে ‘বি’ ক্যাটেগরির দেশগুলো থেকে কেউ দেশটি ভ্রমণে যেতে হলে ভ্রমণ শুরুর আগের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অবশ্যই করোনার পিসিআর নেগেটিভ টেস্টের সার্টিফিকেট লাগবে।
অন্যদিকে, ‘সি’ ক্যাটেগরির অন্তর্ভুক্ত দেশগুলো থেকে কেউ পাকিস্তান ভ্রমণে যেতে পারবে না। অবশ্য এসব দেশের বিশেষ কিছু ব্যক্তি পাকিস্তান ভ্রমণ করতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে দেশটির ন্যাশনাল কমান্ড অ্যান্ড অপারেশন সেন্টারের নির্দেশনা মেনে সেটা করতে হবে।
সেগুলো হলো— ভারত, ভুটান, মালদ্বীপ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ইরান, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইন্দোনেশিয়া, তিউনিসিয়া, ইরাক, ফিলিপাইন, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, মেক্সিকো, বলিভিয়া, চিলি, নামিবিয়া, প্যারাগুয়ে, পেরু, কলম্বিয়া, কোস্টারিকা, ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র, ত্রিনিদাদ, টোবাগো, উরুগুয়ে ও ইকুয়েডর। এসব দেশকে ‘সি’ ক্যাটেগরির অন্তর্ভুক্ত করেছে এনসিওসি।
বাংলাদেশ ছাড়া বাকি যে ২৫টি দেশের নাগরিকদের ক্ষেত্রে পাকিস্তান ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
পাকিস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে দেশটির গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে ১ হাজার ১৯৪ জন শনাক্ত করা হয়েছে।
এ নিয়ে দেশটিতে মোট ৯ লাখ ৪১ হাজার ১৭০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। অপরদিকে, একই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে ৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটিতে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
