পহেলা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষ্যে সকল শ্রমিকদের প্রতি শুভেচ্ছা ও সকল শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব মো. কামরুল জামান।
ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব মো. কামরুল জামান,
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সংগ্রামী সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম খান নাসিম ভাইয়ের পক্ষথেকে সকল শ্রমিকদের প্রতি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন,
কাজে ঘেমে-নেয়ে একাকার শ্রমিকেরা। এ কাজের মজুরি দিয়েই চলে তাদের সংসার। ভোরের আলো ফোটার আগেই শুরু হয়ে যাওয়া কাজ বিরতিহীনভাবে চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। তাদের অনেকেই মে দিবসের তাৎপর্য জানেন না।
শুধু জানেন, তাদের ন্যায্য মজুরির দাবি এখনও উপেক্ষিত, এখনো তাদের বিরাট অংশ মৌলিক মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত। পহেলা মে; মহান মে দিবস। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের রক্তঝরা দিন। সারা বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় পালন করা হয় এ মে দিবস। ১৮৮৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটের শ্রমিকেরা আট ঘণ্টা কাজের দাবিতে আন্দোলনে নামেন।
ওই দিন অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করতে গিয়ে কয়েকজন শ্রমিককে জীবন দিতে হয়। মহান মে দিবস পৃথিবীর দেশে দেশে শ্রমিক শ্রেণির আন্তর্জাতিকভাবে সংহতি ও ঐক্যবদ্ধ থাকার অঙ্গীকার প্রকাশের দিন। মহান মে দিবস পৃথিবীর সব শ্রমজীবী মানুষের এক অমর প্রেরণার উৎস। কিন্তু এখনো তপ্ত রোদ উপেক্ষা করে পেশির দাপটে রক্ত পানি করে যে জীবন যোদ্ধা শ্রমিক, যাদের শ্রমে ঘামে গড়ে ওঠে সভ্যতা, আমাদের যাপিত জীবনের আশ্রয়; সেই শ্রমিকের গড়া সেই অট্টালিকায় থেকেও তাদের কথা ভাবার সময় মেলে না কারো।
এই শ্রমিকনেতা কামরুল জামান আরো বলেন,
নাগরিক দুর্ভোগ লাঘবে নিরন্তর খেটে যাওয়া মানুষগুলো উপেক্ষিত থাকবে, এটাই যেন তাদের নিয়তি। একই টুকরি, একই শ্রম, একই কষ্ট। তবুও মজুরির বেলায় লিঙ্গভেদ আর বৈষম্য। যা আজও পোড়ায় মানুষের হৃদয়। মে দিবস প্রতিষ্ঠার ১৩৯ বছরেরও বেশি সময় পরে শ্রম মজুরি, কর্মঘণ্টা ও শোভন কর্মের জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করতে হচ্ছে। আমাদের দেশের শ্রমজীবী মানুষের রাষ্ট্রীয়, সামাজিক, অর্থনৈতিক, কোনো ক্ষেত্রেই তাদের মর্যাদা বা অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি, জীবনযাত্রার মানের উন্নতি হয়নি।
আমাদের দেশের শ্রমজীবী মানুষ এ দিবসে এখনো তাদের অস্তিত্ব রক্ষার আন্দোলন করে আসছে। আমাদের দেশের শ্রমিক-কর্মচারীরা এখনো তাদের শ্রমের ন্যায্য মজুরি ও ন্যূনতম অধিকার থেকে বঞ্চিত।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব মো. কামরুল জামান বলেন, আমাদের নেতা বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান
মহান মে দিবস উপলক্ষে সকল শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে এক বাণীতে বলেছেন,
সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তম নিজেকে সবসময় একজন শ্রমিক হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব ও স্বাচ্ছন্দবোধ করতেন। শ্রমিকদের দুটো হাতকে তিনি উন্নয়নের চাবিকাঠি ভাবতেন। এদেশের শ্রমিকের কল্যাণে তিনি যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন।
সেই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে এদেশে শ্রম আইন সংস্কার ও আধুনিকীকরণ, বেতন ও মুজুরী কমিশন গঠন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যুনতম মজুরী নির্ধারণ, বাস্তবায়ন ও তাদের বোনাস প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ, শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন গঠন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের সন্তানদের চিকিৎসা ও তাদের লেখা পড়ার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের শ্রমিক সমাজের ভাগ্যোন্নয়নে যথাযথ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের সামগ্রিক অগ্রগতির লক্ষ্যে এই প্রচেষ্টা আগামীতেও অব্যাহত রাখার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছি। মে দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য ‘সকলের জন্য সামাজিক ন্যায়বিচার এবং মর্যাদাপূর্ণ কাজ’। মে দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য নিশ্চিত করতে আমাদের সার্বিক উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। দুঃশাসনের প্রভাব দূরীভুত করে গণতন্ত্রের সমাজভূমি প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
এই শ্রমিকনেতা আরও বলেন,
আগামী পহেলা মে মহান মে দিবসে রাজধানীর সবচেয়ে বড় সমাবেশ করবে জাতীয় শ্রমিকদল। ইনশাআল্লাহ জাতীয় শ্রমিক দলের উদ্যোগে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে এবং
এতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন।