সম্প্রতি পঞ্চগড়ের আহমাদনগরে খতমে নবুওয়াত অস্বীকারকারী কাদিয়ানীদের সালানা জলসাকে কেন্দ্র করে যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে, তার দায় প্রশাসনকেই বহন করতে হবে। নিরীহ তাওহিদী জনতার উপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ দেশের নাগরিক অধিকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
৯০ শতাংশ মুসলমানের দেশে মুসলিম নাম ধারণ করে তাদের ইমানবিধ্বংসী কোনো কার্যক্রম চলতে দেয়া হবে না।
শনিবার রাতে এক বিবৃতিতে ঐতিহ্যবাহী দারুল উলুম দেওবন্দের প্রাক্তন ছাত্রদের সংগঠন ‘ফুযালায়ে দারুল উলুম দেওবন্দ বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক মুফতি হেমায়েতুলাহ কাসেমী এ কথা বলেন।
সংগঠনের ১০১ কাসেমী বলেন, এদেশে অনেক ধর্মাবলম্বী, অনেক মতাদর্শের লোকদের বসবাস। সবাই নিজ নিজ ধর্মীয় আচার ও মতাদর্শের প্রচার করে যাচ্ছে। আলেম-উলামা বা তৌহিদী জনতা কারও ধর্মীয় সমাবেশ বা কর্মকান্ডে বাধা দিচ্ছে না।
শুধু একটি সম্প্রদায়ের (কাদিয়ানি) কর্মকান্ডে কেন বাধা দিচ্ছে ? সেটার কারণ জেনে সরকার ও প্রশাসনের উচিত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া। অন্যান্য ধর্মাবলম্বী বা মতালম্বীদের মতো কাদিয়ানিরা অমুসলিম হিসেবে এদেশে বাস করুক তাতে কোনো আপত্তি থাকার কথা না। কিন্তু ইসলামের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে সম্পূর্ণ এর বিপরীত বিশ্বাসের প্রচার-প্রসারে মুসলিমরা বাধা দেবে এটাই স্বাভাবিক।
কেউ বঙ্গবন্ধুর নাম ব্যবহার করে তাঁর নীতি ও আদর্শের বিপরীতে কাজ করলে কি সেটা আওয়ামী লীগের লোকজন মেনে নেবে!
বিবৃতিদাতারা আরো বলেন, কাদিনীদের অমুসলিম ঘোষণার দাবি শুধু আমাদের দেশীয় ইস্যু না। মুসলমানদের আন্তর্জাতিক ফোরাম রাবেতা, মু’তামার, আযহারসহ বিভিন্ন ফিকহ কাউন্সিল তাদের অমুসলিম ঘোষণা করে ফতওয়া দিয়েছে। উপমহাদেশ, আরব ও আফ্রিকার বহু মুসলিম দেশ সরকারিভাবে তাদের অমুসলিম ঘোষণা করেছে।
পঞ্চগড়ে অমুসলিম কাদিয়ানীদের সমাবেশকে কেন্দ্র করে নিরীহ মুসলমানদের উপর বর্বরোচিত হামলা ও হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে তিন দফা দাবি পেশ করে কাসেমীদের সংগঠন ফুযালায়ে দারুল উলুম দেওবন্দ বাংলাদেশ
১। কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করে তাদের যাবতীয় বইপুস্তক, লিটারেচার, লিফলেট, পা¶িক, মাসিক পত্র-পত্রিকা মুদ্রন, প্রচার, সংর¶ণ, বিতরণ ও সভা সমাবেশ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে হবে।
২। হামলা ও হত্যাকান্ডে জড়িতদের চিহ্নিত করে অনতিবিলম্বে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
৩। নিহত ও আহতদের ¶তিপূরণ ও আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।
উল্লেখযোগ্য বিবৃতিদাতারা হলেন-
মুফতি সৈয়দ নুরুল কারীম কাসেমী, মুফতি হেমায়েতুল্লাহ কাসেমী, মুফতি আব্দুল্লাহ আল মুর্তাজা কাসেমী, মুফতি আব্দুল আজিজ কাসেমী মুফতি সানাউল্লাহ কাসেমী, মুফতি খালিদ খান কাসেমী, মুফতি আবুল ফাতাহ কাসেমী, মুফতি মামুনুর রশীদ সালিম কাসেমী, মুফতি জোবায়ের আব্দুল্লাহ কাসেমী, মুফতি জহিরুল ইসলাম কাসেমী, মুফতি আবু দারদা কাসেমী, মুফতি জাকির হুসাইন কাসেমী, মুফতি তাওফিক খন্দকার কাসেমী মুফতি আব্দুল্লাহ আল মামুন কাসেমী আযহারী, মুফতি আবু রায়হান কাসেমী, মুফতি আব্দুল হাই কাসেমী, মুফতি আব্দুশ শাকুর কাসেমী মুফতি ওমর ফারুক কাসেমী, মুফতি মুজাম্মিলুল হক কাসেমী, মুফতি হানিফ রাইয়ান কাসেমী নদভী, মুফতি আবু হুরায়রা কাসেমী, মুফতি তাওহিদ আদনান কাসেমী, মুফতি আশিকুর রহমান কাসেমী, মুফতি ওমর ফারুক ইব্রাহিমী কাসেমী, মুফতি তাহমীদ মাদানী কাসেমী মুফতি দিলাওয়ার হোসাইন কাসেমী, মুফতি নিছারুদ্দীন কাসেমী, মুফতি রাশেদুল ইসলাম কাসেমী, মুফতি আনিস কাসেমী, মুফতি মাহমুদুল হাসান কাসেমী, মুফতি আবুল কালাম আজাদ কাসেমী, মুফতি গোলাম মাওলা কাসেমী, মুফতি ইয়াহইয়া কাসেমী, মুফতি আমিন খান কাসেমী প্রমুখ।





