পঞ্চগড়ে ‘আহমদিয়া জামাত’ তথা কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের ইজতেমা আয়োজনকে কেন্দ্র করে সারাদেশের মুসলিম তৌহিদী জনতার মনে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছ। ফলশ্রুতিতে মুসলিম জনতা সরকার ও প্রশাসনকে কথিত ইজতেমা বন্ধের দাবী জানিয়ে আসছে।
কিন্তু প্রশাসন সেদিকে ভ্রুক্ষেপ না করে কাদিয়ানীদের পক্ষাবলম্বন করেছে। এতে ঈমানদার মুসলিম জনতা রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে দেশের প্রশাসন কাপুরুশোচিতভাবে আন্দোলনরত মুসল্লিদের ওপর বেপরোয়া গুলি চালিয়ে মানুষ মেরে ও হতাহত করে তারা প্রমাণ করেছে, তারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারি নয়; বরং তারা কাদিয়ানীদের সেবাদাস। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও দায়ীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ ও যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান।
কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করতে এবং ইজতেমার নামে ঈমান বিধ্বংসী, ইসলাম-মুসলমান ও খতমে নবুওয়তবিরোধী অপতৎপরতা স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
আজ এক যুক্ত বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, আহমদীয়া মুসলিম জামাত নামধারী কাদিয়ানী সম্প্রদায় বিশ্বের সকল মুসলিমদের ঐকমত্যে অমুসলিম বা কাফের। এরপরও প্রকাশ্যে রাসূল সা. এর দুশমন কাদিয়ানীরা জাতীয় ইজতেমা’র নামে সহজ সরল ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ঈমান হরণের সভা আয়োজনের অপতৎপরতা অত্যন্ত দুঃখজনক।
নেতৃদয় বলেন, আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট। কাদিয়ানী সম্প্রদায় অমুসলিম পরিচয়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘু হিসাবে তারা রাষ্ট্রের সুবিধাদি ভোগ করুক, তাতে কারো কোন আপত্তি থাকবে না। কিন্তু মুসলিম পরিচয় দেয়ার মাধ্যমে সরলপ্রাণ মুসলমানদের বিভ্রান্ত করলে এবং মুসলিম সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে তা কোনভাবেই বাংলাদেশের মানুষ বরদাশত করবে না।