ফরহাদ আলম, নওগাঁ প্রতিনিধি:
বিয়ের সময় চুক্তিকরা খাট ও যৌতুকের টাকা না পাওয়ায় স্ত্রীকে শ্বাস রোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শাশুড়ীর বিরুদ্ধে । নওগাঁ সদরের খলিশাকুড়ি এলাকায় পাশবিক এ ঘটনার পর অভিযুক্তরা বাড়ি থেকে পালিয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছে স্থানীয় থানা পুলিশ। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবী করেছে স্বজন ও এলাকাবাসী।
যৌতুকের চাহিদা পুরণ না হওয়ায় শাশুড়ী ও জামাইয়ের নির্মম নির্যাতন সহ্য করেই সংসার ধরে রাখতে চেয়েছিল সুখী আক্তার নামে এক গৃহবধূ। দরিদ্র পিতা-মাতা শনিবার সকালে নওগাঁ সদরের খলিশাকুড়ি মেয়ের বাড়ীতে এসে দেন দরবার করে যৌতুক দেওয়ার আস্তস্থ করেছিল, তাতেও স্বামী-শাশুড়ীর মন গলেনি । সেদিন দুপুরেই তারা সুখীকে শ্বাস রোধ করে হত্যার পর ঘরে তালা দিয়ে গা-ঢাকা দেয়।
প্রতিবেশীরা বাড়ীতে কোনরকম সাড়া শব্দ না পেয়ে জানালা দিয়ে দেখতে পায় গৃহবধূর সুখীর মরদেহ। স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে ঘরের দরজা ভেঙ্গে মরদেহ উদ্ধার করে ।
খবর পেয়ে ছুটে আসে গৃহবধূর স্বজনরা । স্বজনরা জানায় বিয়ের সময় একটি খাট ও যৌতুকের এক লাখ টাকা দাবী করে সুখীকে নিত্য নির্যাতন করে তার স্বামী ও শ্বাশুড়ী । এর মাঝে কিছু টাকা দিলেও খাট না দেওয়ায় আজ সকালে ডেকে পাঠায় মেয়ের বাবা-মাকে । তারা এসে দ্রুত এ টাকা দিবে বলে আস্বস্থ করেছিল । কিন্তু তারা চলে গেলে সুখীর উপর চলে নির্মম নির্যাতন । স্বজনদের দাবী সুখীকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়েছে । তারা বলেন, অনেক দিন ধরেই এ নির্যাতন করা হচ্ছিল । বিভিন্ন সময় হোসেনের মা নিহতের শাশুড়ী ছেলেকে অন্যত্র বিয়ে দিয়ে আরো যৌতুক পাওয়া যাবে বলে হুশিয়ারী দিয়ে আসছিল ।
৩ বছর আগে শহরের কাদোয়া গ্রামে সুখী আক্তারের সাথে পার্শবর্তী গ্রামের হোসেন আলীর বিয়ে হয়। তাদের ২ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে ।
পুলিশ বলছে লাশ ময়না তদন্ত করে দোষীদের ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে । নওগাঁ সদর থানা ওসি মো: ফায়সাল বিন আহসান বলেন, আমরা সব তদন্ত করে দেখছি ।
এ ঘটনায় ৫ জনকে আসামি করে নওগাঁ সদর থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছে নিহত সুখীর পিতা । তবে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ ।
আর.আই/