এম.এস আরমান, নোয়াখালী প্রতিনিধি:
সৌদিআরব ও ইরানের পর মিসরে আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বিশ্বসেরা নির্বাচিত হওয়ার পর দেশে এসে নিজ উপজেলায় গণসংবর্ধিত হলেন দৃষ্টিহীন হাফেজ তানভীর হোসাইন।
সোমবার সকাল ১০ টায় হাফেজ তানভীর হোসেন এর নিজ উপজেলা নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট রুপালি চত্বরে মারকাযুত তাকওয়া মাদ্রাসার উদ্যোগে হাফেজ আবছার উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও মুফতি আমিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বিশ্বজয়ী হাফেজ তানভীর এলাকায় আগমন উপলক্ষে উৎসুক ধর্মপ্রাণ তাওহিদী জনতা ফেনীর দাগনভূঞয়া উপজেলা থেকে মোটরসাইকেল শোডাউনের মাধ্যমে তাঁকে বরণ করে নেয়। জন্মান্ধ হাফেজ তানভীর নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরকাকড়া গ্রামের আবদুল মতিন মিয়ার বাড়ির শেখ মোঃ ইলিয়াস এর ছেলে।
গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও
বসুরহাট পৌরসভা মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও এলিন ফুড কোম্পানীর ডিরেক্টর পিপল চৌধুরী। কোম্পানীগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ সাদেকুর রহমান। বসুরহাট পৌরসভা প্যানেল মেয়র ফরহাদ হোসেন। দাগনভূঞয়া দারুল কোরআন মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওঃ আতিক উল্যাহ আল মামুন প্রমূখ।
এর আগে হাফেজ তানভীর হোসাইন সৌদি আরবের মক্কায় অনুষ্ঠিত কুরআন প্রতিযোগিতায় ৭৩টি দেশের প্রতিযোগীদের হারিয়ে প্রথমস্থান অধিকারসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছেন।
১লা জানুয়ারি মিসরের কায়রোর গ্র্যান্ড নাইল টাওয়ার হোটেলে শুরু হওয়া সপ্তাহব্যাপী এ প্রতিযোগিতায় ১০৮ জন প্রতিযোগীর মধ্যে (পূর্ণ ৩০ পারা) বাংলাদেশের পক্ষে অংশ গ্রহণ করে তৃতীয় স্থান অর্জন করেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কৃতিসন্তান হাফেজ তানভীর হোসাইন।
তিনি বলেন, কোরআনের কারণে আমি সম্মানিত হয়েছি। কোরআন হেফজের আগে কেউ আমাকে চিনত না, এমনকি আমি নিজেই নিজেকে চিনতে পারিনি, যখন কোরআন হেফজ করলাম তখন থেকে সারা পৃথিবী আমাকে চিনতে শুরু করেছে। আমি পৃথিবীর কাউকে দেখতে না পেলেও পৃথিবীর মানুষ আমাকে দেখছে। আল্লাহর যদি ইচ্ছে হয় আমার দৃষ্টি যদি কখনো ফিরে আসে তার চেয়ে অধিক গুরুত্ব থাকবে আমার কাছে আল কোরআন।
গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অতিথিদের বক্তব্য শেষে হাফেজ তানভীর হোসাইনকে ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে বরণ করে নেন কর্মস্থল কোম্পানীগঞ্জ মার্কাযুত তাকওয়া মাদ্রাসা, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
আর.আই/