বিশ্বের জারজরাষ্ট্র ইসরাইল থেকে বাংলাদেশ সরকারের নজরদারির ব্যাপক বিতর্কিত প্রযুক্তি কেনা বিষয়ে একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ ও যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান।
নেতৃদ্বয় বলেন, জনগণের করের টাকায় এমন ভয়ঙ্কর হাতিয়ার কোন সুনির্দিষ্ট আইন ও নীতি অনুযায়ী কেনা হলো, কি উদ্দেশ্যে, কোন প্রেক্ষিতে, কার স্বার্থে এর ব্যবহার হবে, এমন মৌলিক প্রশ্নের জবাব জানার অধিকার দেশবাসীর রয়েছে। সুনির্দিষ্ট নীতিমালার অনুপস্থিতিতে এমন প্রযুক্তির ব্যবহারে ব্যক্তিগত তথ্যের ও যোগাযোগের গোপনীয়তা, সুরক্ষা এবং বাক ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাসহ একাধিক সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার খর্ব হওয়ার ব্যাপক ঝুঁকি হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সচেতন জনগণ।
আজ সোমবার এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, গত কয়েক বছরে রাজনীতিবিদ, মন্ত্রী, ব্যবসায়ী, গণমাধ্যমকর্মী এবং ভিন্ন মতাবলম্বীদের ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় এটা এক রকম নিশ্চিত করে বলা যায় যে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ এক বা একাধিক বিশেষায়িত সরকারি সংস্থা নজরদারির বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসছে।
তারা বলেন, জনগণের ব্যক্তিগত তথ্যের ও যোগাযোগের গোপনীয়তা, সুরক্ষা, বাক ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব হয় এবং সর্বোপরি ব্যক্তির জীবন ও জীবিকার জন্য হুমকি হতে পারে এমন প্রযুক্তি কেনা ও ব্যবহারের বিস্তৃতি ও পরিধি সম্পর্কে সরকারকে সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা দেশবাসীর কাছে দিতে হবে।
নেতৃদ্বয় বলেন, ইসরাইল বিশ্বব্যাপী অশান্তির আগুন জ্বালিয়ে রেখেছে। বিশ্বব্যাপী অশান্তির হোতা ইসরাইল। ইসরাইল ইসলাম ও মানবতার শত্রু। কাজেই ইসরাইলি প্রযুক্তি কিনে এদেশে অশান্তির চেষ্টা করা হচ্ছে কিনা তা দেশবাসীকে ভাবতে হবে।
এন.এইচ/