কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় উন্নয়ন সংস্থা সেন্টার ফর কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট এসিসটেন্স (সিসিডিএ)’র সাসটেইনেবল এন্টারপ্রাইজ প্রকল্প (এসইপি) এর আওতায় পুকুরে মাছ ও পাড়ে সবজি চাষ খামারের প্রদর্শনীর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ (সোমবার, ৫ ডিসেম্বর-২০২২) বিকেলে উপজেলার তালতলী গ্রামের মোসাঃ হাসি বেগম এর প্রদর্শনী পুকুর পাড়ে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। সিসিডিএ-এসইপি প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোঃ মাসুদ আলমের সভাপতিত্বে এতে আরো উপস্থিত ছিলেন সংস্থার দাউদকান্দি-০৭ শাখার সিনিয়র কর্মসূচী কর্মকর্তা একেএম মেহেদী হাসান, সাংবাদিক মোঃ শরিফ প্রধান, উদ্যোক্তা মোসাঃ হাসি বেগম, টেকনিক্যাল অফিসার (ফিশারিজ) ইমরান শেখ, ডকুমেন্টেশন কর্মকর্তা মোঃ নূরুন্নবী রাসেল, পরিবেশ কর্মকর্তা মোঃ সাহেদুল ইসলামসহ স্থানীয় মাছচাষীবৃন্দ ও এসইপি প্রকল্পের কর্মকর্তাবৃন্দ।
মাঠ দিবসে এসইপি প্রকল্পের প্রদর্শনী প্রাপ্ত এসইপি সদস্য মোসাঃ হাসি বেগম তাঁর পুকুরে মাছ ও পাড়ে সবজি চাষের অভিজ্ঞতা বিনিময় করে বলেন- ‘আমি আগে থেকেই পুকুরে মাছ চাষ করতাম। আগে আমার পুকুরের পাড় খালি পরে থাকতো। সিসিডিএ-এসইপি প্রকল্পের কর্মকর্তাদের পরামর্শে আমি পুকরের পাড়ে সবজি চাষ শুরু করি। এরপর আমাকে সিসিডিএ-এসইপি প্রকল্প থেকে আমাকে ‘পকুরে মাছ ও পাড়ে সবজি চাষ’ বিষয়ে প্রদর্শনীর মাধ্যমে মাছ চাষ ও সবজি চাষের নানা প্রয়োজনীয় উপকরণ প্রদান করে। মাছের পাশাপাশি পুকুরের পাড়ের সবজি বিক্রয় করে আমি বর্তমানে প্রতি মৌসুমে প্রায় ৫০ হাজার টাকা বাড়তি আয় করছি। যা আমার সাংসারিক খরচ পরিচালনা করতে সহায়ক হচ্ছে। সিসিডিএ’র এসইপি প্রকল্প কে ধন্যবাদ।’
বর্তমানে হাসি বেগম তাঁর ১০০ শতাংশের ১টি, ৫০ ও ৩০ শতাংশের ২টি পুকুরে মাছচাষ করেন, এসইপি প্রকল্পের প্রদর্শণী পাওয়ার পর উৎসাহিত হয়ে পুকুর গুলোর পাড় ফেলে না রেখে সেখানেও সবজি চাষ করছেন তিনি। এতে তার আর্থ সামাজিক অবস্থার ইতিবাচক পরিবর্তন হচ্ছে।
উল্লেখ্য থাকে যে, বৃহত্তর কুমিল্লা জেলার প্লাবনভূমি অঞ্চলের ও পুকুর ভিত্তিক মাছচাষীদের সার্বিক উন্নয়ন, উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধি, মাছচাষের স্থায়ীত্ব প্রতিষ্ঠা ও তাঁদের আর্থিক ও কারিগরি বিভিন্ন সেবা দিয়ে আসছে সেন্টার ফর কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট এসিসটেন্স (সিসিডিএ)’র এসইপি প্রকল্প। মাছ চাষে আধুনিক প্রযুক্তির প্রসার ঘটাতে এসইপি প্রকল্প ডিফারেন্ট টেকনোলজিসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রায় ২৬টি প্রদর্শনী প্রদান করেছে। যাতে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)।
এস.আই/