ভারতে চলমান সাম্প্রদায়িকতা ও ইসলামোফোবিয়া প্রতিরোধে এক হাজার সম্প্রীতি মঞ্চ গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সভাপতি, আওলাদে রাসূল হযরত মাওলানা সাইয়্যিদ মাহমুদ আসআদ মাদানী।
গতকাল শনিবার (২৮ মে) সকালে উত্তর প্রদেশের দেওবন্দে উসমান নগর ঈদগাহ ময়দানে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের ২ হাজার সদস্য ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটির সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।
জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সভাপতি মাওলানা মাহমুদ আসআদ মাদানীর সভাপতিত্বে এই সম্মেলনে যোগদান করেন জমিয়তের অপর অংশের সভাপতি, আমীরুল হিন্দ হযরত মাওলানা সাইয়্যিদ আরশাদ মাদানী।
সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে বর্তমানে ভারতে ক্রমবর্ধমান ইসলামবিদ্বেষকে কীভাবে প্রতিরোধ করা যায় তা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। মুসলিম ও অমুসলিম সম্প্রদায়ের সম্মিলনে সম্প্রীতি মূলক ফোরাম গঠনের প্রস্তাবও এই সম্মেলনে পাশ হয়।
সভাপতির ভাষণে মাওলানা মাহমুদ মাদানী বলেন, আমরা মুসলমানরা দুর্বল হতে পারি, কিন্তু এর মানে এই নয় যে, আমরা মাথা নত করে সব মেনে নেবো।
তিনি বলেন, আমরা সব বিষয়ে আপস করতে পারি, কিন্তু আমাদের ঈমান ও আকীদা প্রসঙ্গে কোনো আপস হতে পারে না। আমাদের ঈমান আমাদের শিক্ষা দেয়, কোনো পরিস্থিতিতেই হতাশ হওয়া যাবে না। এই সাম্প্রদায়িক শক্তির একটি অ্যাকশন প্ল্যান আছে, তারা আমাদের কাছ থেকে এর হীন প্রতিক্রিয়া চায়, কিন্তু আমরা তাদের এই পরিকল্পনার ফাঁদে পা দিয়ে এর অংশ হতে পারি না।
মাওলানা মাদানী আরো বলেন, সাম্প্রদায়িক লোকেরা ভারতে সংখ্যাগরিষ্ঠ নয়, সংখ্যায় তারা নগণ্য। বরং আমরাই এই দেশে আদর্শিকভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠের কাতারে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও বাস্তবতা হলো এই যে, যারা ঘৃণা ও সাম্প্রদায়িকতা ছড়াচ্ছে, এরা দেশের দুশমন, এরা দেশদ্রোহী; এটা ভালোভাবে জানা থাকার পরও ভারতের অধিকাংশ মানুষ এদের প্রতিরোধে আজ মুখ বুজে আছে।
সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ নির্মূলের দায়িত্ব সরকার ও গণমাধ্যমের উপরই বেশি বর্তায় মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমাদের পূর্বপুরুষেরা এই দেশের জন্য মহান ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তাই আমরা সাম্প্রদায়িক শক্তিকে ভারতের মর্যাদা নিয়ে খেলতামাশার সুযোগ দিতে পারি না।