যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ঋষি সুনাক। ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর চলতি সপ্তাহে সুনাককে প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করেন ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস।
ব্রিটেনের গত ২০০ বছরের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ এবং প্রথম অশেতাঙ্গ এই প্রধানমন্ত্রীকে ঘিরে অনেক প্রত্যাশা করছেন পাকিস্তানিরা। তাদের আশা, সুনাকের ‘শিকড়’ পাকিস্তানে হওয়ায় কাশ্মিরর সঙ্কট সমাধানে ভারতকে চাপ দেবেন তিনি।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক তার ভারতীয় এবং হিন্দু ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছেন। তবে তার শিকড় রয়েছে বর্তমান পাকিস্তানে। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের সময় পাকিস্তানের পাঞ্জাবের গুজরানওয়ালা শহরে বসবাস করতেন সুনাকের পিতামহ।
সাবেক ব্রিটিশ সাম্রাজ্য থেকে ভারত ও পাকিস্তানকে আলাদা তথা দেশভাগের সময় গুজরানওয়ালা শহরে ১৯৪৭ সালে বেশ কিছু মারাত্মক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়েছিল। তবে দেশভাগের সেই অস্থির সময়ের আগেই চাকরির জন্য পাকিস্তানের গুজরানওয়ালা শহর ছেড়ে কেনিয়ায় চলে গিয়েছিলেন সুনাকের দাদা রামদাস সুনাক।
ভারতের সীমান্তবর্তী পাঞ্জাব প্রদেশের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত শিল্প কেন্দ্র গুজরানওয়ালার অনেকেই বলছেন, যুক্তরাজ্যের নতুন নেতা কাশ্মির সঙ্কটের সমাধানের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ পদে অবস্থান করছেন। কারণ কাশ্মিরই দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে বিবাদের মূল বিষয়।
গুজরানওয়ালার কুস্তি খেলার বেশ সুনাম রয়েছে। মূলত এই খেলাটিই গুজরানওয়ালাকে বিশ্বব্যাপী বিখ্যাত করেছে। আর এই শহরেরই ওমর আলী নামে একজন কুস্তিগীর ঋষি সুনাক প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় বেশ খুশি। তিনি বলছেন, এটি আনন্দের বিষয় যে- যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রীর পূর্বপুরুষদের মধ্যে অনেকেই এখানে বসবাস করতেন।
স্থানীয় এক কলেজের অধ্যাপক খুররম শেহজাদের আশা, ঋষি সুনাক শুধু পাকিস্তান ও ব্রিটেনের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করতেই কাজ করবেন না বরং পাকিস্তান ও ভারতের জন্য ‘সাফল্যের নতুন যুগ’ নিয়ে আসবেন।
পাঞ্জাবের প্রাদেশিক সরকারের মুখপাত্র মুসাররাত জামশেদ চিমা বলছেন, ‘মনে হচ্ছে ঋষি সুনাকের অগ্রাধিকার হবে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা। তবে আমরা আশা করি তিনি কাশ্মির সমস্যার সমাধানে কাজ করবেন। এটিই পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে বিবাদের প্রধান কারণ।’
সূত্র : ওয়াশিংটন পোস্ট
1 thought on “পাকিস্তানিদের প্রত্যাশা: কাশ্মির সঙ্কট সমাধানে ভারতকে চাপ দেবেন সুনাক”
সঠিক সমাধান হলে দুই দেশের জন্যই কল্যাণ ভয়ে আনবে।