জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জি এম কাদের) বলেছেন, গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনই প্রমাণ করে কর্তৃত্ববাদী কোনো সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। নির্বাচন কমিশন চাইলেও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না। সরকার ও সরকারী দলকে খুশি করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসন অনিয়মকেই নিয়মে পরিণত করে। দেশের মানুষ দোজখের আগুনে জ্বলছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার বিকেলে রাজধানীর উত্তরখান কলেজিয়েট স্কুল মাঠে থানা জাতীয় পার্টির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
গত ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনে ব্যাপক জাল-জালিয়াতির কারণে নির্বাচন কমিশন বন্ধ ঘোষণা করেছে উল্লেখ করে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, আমরা আবারো দাবি করছি, নতুন তফসিল ঘোঘণার মাধ্যমে পুনরায় নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। কোনো জালিয়াতির নির্বাচন আমরা মেনে নেবো না। আমরা মানুষের ভোটাধিকারে বিশ্বাসী। আমরা মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে চাই।
জি এম কাদের বলেন, শুরু থেকেই আমরা ইভিএমে নির্বাচনের বিরোধিতা করছি। কারণ, ইভিএমে ঘোষিত ফলাফল চ্যালেঞ্জ করা সম্ভব হয় না। কোনো প্রার্থী সংক্ষুব্ধ হলে, কোনো প্রমাণ নিয়ে তিনি আইনের আশ্রয় নিতে পারেন না। আবার যারা নির্বাচন পরিচালনা করেন সেই মাঠ প্রশাসন সরকারের আনুকূল্য পেতে ব্যস্ত হয়ে ওঠে। ইভিএমের দোষ না থাকলেও যারা ইভিএম পরিচালনা করেন তারা তো নিরপেক্ষ নয়। তাই কর্তৃত্ববাদী কোনো সরকারে অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার সুযোগ নেই।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যারা সরকারি দল করেন শুধু তারাই যেন বেহেস্তে আছেন। দেশের মানুষ যেনো দোযখের আগুনে জ্বলছে। দেশের বেশির ভাগ মানুষ টাকার অভাবে বাজার করতে পারছে না, আর একটি অংশ দেশে টাকা রাখার জায়গা পাচ্ছে না। তারা হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে। মানুষের অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থানের ব্যবস্থা নেই, মৌলিক অধিকার নেই মানুষের। কিন্তু হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে উন্নয়নের নামে লুটপাট চলছে।
উত্তরখান থানা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান আলালের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তর আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম সেন্টু, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির আহ্বায়ক শেরিফা কাদের এমপি, মাহবুবুর রহমান লিপটন, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব মো: জাহাঙ্গীর আলম পাঠান প্রমুখ।