মিনহাজ আবেদিন, রাবি প্রতিনিধি: দুই বাংলার লেখক-পাঠক- সম্পাদকদের নিয়ে সাহিত্য পত্রিকা চিহ্ন’র আয়োজনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সাহিত্য বিষয়ক ‘চিহ্নমেলা মুক্তবাঙলা’। আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর (সোমবার) এই মেলা অনুষ্ঠিত হবে। শেষ হবে ১৯ সেপ্টেম্বর।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ একাডেমিক ভবন চত্বরে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মেলার আহ্বায়ক অধ্যাপক শহীদ ইকবাল।
জানা যায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক, লেখক শহীদ ইকবালের সম্পাদনায় ‘চিহ্ন’ প্রায় দুই দশক থেকে নিয়মিত বের হচ্ছে। পত্রিকাটি ২০১১ সালে প্রথমবারের মতো দেশের লেখক-লিটল ম্যাগাজিনের সম্পাদক আর বুদ্ধিবৃত্তির মানুষদের নিয়ে আয়োজন করে চিহ্নমেলার। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৩ সালে দ্বিতীয়বারের মতো, ২০১৬ সালে তৃতীয়বারের মতো, ২০১৯ সালে চতুর্থ এবং এবার ২০২২ সালে পঞ্চমবারের মতো এ আসর বসতে যাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক শহীদ ইকবাল বলেন, এই আয়োজনে দেশ ও দেশের বাইরের দুই শতাধিক লিটলম্যাগ এবং পাঁচ শতাধিক লেখক-পাঠক-সম্পাদকের সম্মেলন ঘটবে। রবিবার বিকেলে ফানুস উড়িয়ে দুই দিনব্যাপী মেলার প্রাক আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন রাবি উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার।
মেলার উদ্বোধন ও অনুষ্ঠানসূচি বিষয়ে তিনি বলেন, সোমবার সকালে শোভাযাত্রা ও মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হবে। উদ্বোধন করবেন প্রসিদ্ধ লিটলম্যাগ ব্যক্তিত্ব সন্দীপ দত্ত। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন দেশবরেণ্য কবি নির্মলেন্দু গুণ। শোভাযাত্রা শেষে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে আড্ডা, মুক্তভাষণ, গল্প ও কবিতাপাঠ এবং সঙ্গীতানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
মেলার দ্বিতীয় দিনও বিভিন্ন বিষয়ে আড্ডা, গ্রন্থ ও পত্রিকার মোড়ক উন্মোচন, প্রবন্ধ পাঠ অনুষ্ঠিত হবে। সমাপনী সন্ধ্যায় বিভিন্ন শ্রেণীতে পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান এই আহ্বায়ক।
অধ্যাপক শহীদ ইকবাল আরো জানান, এবারে চিহ্ন সাহিত্যপুরস্কার পাচ্ছেন কথাসাহিত্যিক হামিদ কায়সার, চিহ্ন সারস্বত সম্মাননায় ভূষিত হচ্ছেন প্রবীণ সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ জুলফিকার মতিন, চিহ্ন লিটলম্যাগ-সম্মাননা পাবেন বাংলাদেশী পত্রিকা ‘তৃতীয় চোখ’ ও ভারতীয় পত্রিকা ‘নৌকো’। এদিনের সাংস্কৃতিক আয়োজনে থাকছে হাসান রাজার বাঁশি, গানের দল ‘মাতাল’-এর দৈশিক পরিবেশনা ও শ্রদ্ধা নাগের ধ্রুপদী নৃত্যায়োজন।
এবারের মেলার নামকরণের বিষয়ে তিনি বলেন, ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত মেলার নাম ছিলো ‘বিশ্ববাংলা’, ২০১৯ সালে ছিলো ‘চিরায়ত বাংলা’ আর এবারে নাম দেওয়া হয়েছে ‘মুক্তবাংলা’। চেতনাটাকে পৌছিয়ে দেওয়ার জন্য শিরোনাম আলাদা দিলেও, মূল বিষয়টা একই আছে। আগামী মেলার নামও হয়তোবা নাম আলাদা হবে।