২৪ এর অভ্যুত্থানে গণহত্যার রক্ত যাদের হাতে লেগে আছে, যারা দীর্ঘ স্বৈরশাসনে বাংলাদেশের মানুষের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছিল। এইদেশে কোন নির্বাচনে অংশ নেয়ার অধিকার তাদের নাই। নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের চেতনা বিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। অনতিবিলম্বে গণবিরোধী বক্তব্যের জন্য দেশবাসীর কাছে তাকে ক্ষমা চাইতে হবে।
আজ ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ বৃহস্পতিবার নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার ‘আওয়ামীলীগ নির্বাচনে অংশ নিতে কোন বাঁধা নেই’ বলে বক্তব্য রাখেন। যার প্রতিক্রিয়ায় এক যৌথ বিবৃতিতে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি ইউসুফ আহমাদ মানসুর ও সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মাহবুবুর রহমান নাহিয়ান তীব্র নিন্দা জানিয়ে উপর্যুক্ত দাবি জানান।
নেতৃদ্বয় বলেন, গণহত্যাকারী রাজনৈতিক সংগঠন এর নির্বাচনে উপস্থিতি এই রাষ্ট্রের জনগণ কোনভাবেই মেনে নেবে না। দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতেই বদিউল আলম মজুমদার এ ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন কিনা তা খতিয়ে দেখা দরকার।
নেতৃদ্বয় আরও বলেন, বাংলাদেশে বিগত ১৬ বছর দূর্নীতির মহা সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিলো আওয়ামী লীগ। ছাত্রলীগ-যুবলীগ সন্ত্রাসীদের দ্বারা এমন কোন অপরাধ নেই যা সংঘটিত হয়নি। ক্ষমতাকে ব্যবহার করে দেশবিরোধী নানা চুক্তি ও দেশের টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচারের নজির সৃষ্টি করেছে আওয়ামী লীগ। খুন, গুম, ধর্ষণ ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে দেশকে সাধারণ মানুষের বসবাস অনুপযোগী করে তুলেছিল এই দল। দেশবাসী যখন এই সন্ত্রাসী সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার দাবী তুলছে ঠিক তখনই তাদের নির্বাচনে এনে পুনর্বাসনের চেষ্টা সন্দেহজনক।
অনতিবিলম্বে বদিউল আলম মজুমদারকে এ ধরনের বক্তব্য দেয়ার কারণ দর্শাতে হবে। এবং ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সাথে তার সংযোগ আছে কিনা তাও তদন্ত করে দেখার ব্যাপারে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি দাবী জানান নেতৃদ্বয়।