মুহাম্মাদ ফরহাদ মোল্লা, খুলনা প্রতিনিধি: বাংলাদেশের হোয়াইট গোল্ড চিংড়িতে অপদ্রব্য মিশ্রনকারি অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে রূপসায় র্যাব-৬ অভিযান চালিয়ে ১৫ জনকে একলাখ ৪০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেছে। ১২ অক্টোবর রাত সাড়ে ০৯টা হতে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত র্যাব এ অভিযান চালায়।
খুলনা ৬ র্যাব জানায়, খুলনাঞ্চল চিংড়ির জন্য খুবই বিখ্যাত। জিআই পণ্য চিংড়ি বাংলাদেশের হোয়াইট গোল্ড হিসেবে বিশ্বে পরিচিত। খুলনা হতে চিংড়ি দেশের নানা প্রান্তে সরবরাহ করা হয় এবং বিদেশেও রপ্তানি করা হয়। কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা অতিশয় মুনাফার লোভে মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর অপদ্রব্য পুশ করে চিংড়ির ওজন বৃদ্ধি করে আসছে ও ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে চিংড়ির রং আকর্ষনীয় করছে।
এরই ধারাবাহিকতায় ১২ অক্টোবর র্যাব-৬, সদর কোম্পানি, খুলনার একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, রূপসা থানাধীন পূর্ব রূপসা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিভিন্ন মৎস্য আড়ৎগুলোতে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে চিংড়ি মাছে অপদ্রব্য পুশ করছে। প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে আভিযানিক দলটি একই তারিখ আনুমানিক রাতে সাড়ে ০৯টা হতে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত রূপসা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বাপি কুমার দাস এর সমন্বয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে।
এ সময় অবৈধভাবে চিংড়িতে অপদ্রব্য (জেলী) পুশ করার দায়ে মৎস্য ও মৎস্য পণ্য নিয়ন্ত্রণ (পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০২০ এর ৩৩ ধারায় মেসার্স রাকিব ফিস এর ম্যানেজার ইব্রাহিম শেখকে এক লাখ টাকা, এবং তার কর্মচারী ইমন মোল্লাকে পাঁচ হাজার টাকা, রবিউল ইসলাম জুয়েল, রাসেল ব্যাপারী, নাজিম সরদার, মোঃ মিরাজ, মোঃ আল আমিন ইসলাম, মোঃ রিপন হাওলাদার, মোঃ নাজমুল, বাবু হোসেন, মোঃ হাফিজুর রহমান, রনি মৃধা, মোঃ আলিফ, হানিফ হাওলাদার, মোস্তাকিম হাওলাদারদের প্রত্যেককে তিন হাজার টাকা করে সর্বমোট একলাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার সময় উক্ত মৎস্য আড়ৎ হতে অপদ্রব্য (জেলী) পুশকৃত ৯০০ কেজি চিংড়ি জব্দ করা হয়।
জব্দকরা অপদ্রব্য পুশকৃত চিংড়ি মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হয়েছে এবং জরিমানার অর্থ সংশ্লিষ্ঠ ব্যক্তিরা তাৎক্ষনিক প্রদান করায় বিধি মোতাবেক সরকারি কোষাগারে জমা করা হয়েছে।