ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) মানবতার মুক্তিদাতা ও ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। তার জীবন ও আদর্শ অনুসরণের মধ্যেই মানুষের ইহকালের কল্যাণ ও পরকালের মুক্তি নিহিত রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মহানবীর (সা.) জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে কর্ম-পন্থা নির্ধারণ করলে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি হয়ে উঠবে উন্নত, সমৃদ্ধ, শান্তিপূর্ণ ও কল্যাণময়। তার বিদায় হজের ভাষণে প্রদত্ত নির্দেশ আমাদের দেশের হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির যে দৃষ্টান্ত রয়েছে তা আরও সুসংহত ও সুদৃঢ় করতে শিক্ষা দেয়।
শনিবার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব সাহানে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ১৪৪৪ হিজরি উদযাপন উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত ১৫ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে ১৯৭৩ সালে প্রধান অতিথি হিসেবে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) মাহফিলের শুভ উদ্বোধন করে বিশ্বনবী (সা.) এর আদর্শ প্রচার ও দ্বীনি খেদমতের এক নব দিগন্তের দ্বার উন্মোচন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনায় জাতীয় পর্যায়ে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত হয়ে আসছে।
বক্তব্য শেষে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ‘পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ১৪৪৪ হিজরি স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করেন
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মো. মুশফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মুহা. আ. আউয়াল হাওলাদার। অনুষ্ঠানে আলোচক অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরস এর গভর্নর মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন ও দারুল উলুম রামপুরা বনশ্রী মাদ্রাসার মুহতামিম শাইখুল হাদিস মাওলানা ইয়াহিয়া মাহমুদ।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক মুসুল্লি উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন।