সু-শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। শিক্ষার গুরুত্ব উপলব্ধি থেকে শিক্ষার সর্বস্তরে নারীদের অংশগ্রহণের হার বেড়েছে। নারীশিক্ষার অগ্রগতিতে রাষ্ট্রের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থাকলেও দেশে প্রতিনিয়ত নারী শিক্ষার্থী নির্যাতনের নিষ্ঠুরতম অমানবিক ঘটনা ঘটছে। নারীদের প্রতি নির্যাতন কখনই সুস্থ মস্তিষ্কের কাজ হতে পারে না। যে সরকার ও সমাজ নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে না, তাদের মুখে নারী শিক্ষা ও নারী প্রগতির কথা মানায় না।
২৮ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকেলে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল করীম আকরাম ও সেক্রেটারী জেনারেল শেখ মুহাম্মাদ আল-আমিন এক যৌথ বিবৃতিতে উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ইসলাম নারীকে যথাযথ মর্যাদা ও সম্মানের সাথে জ্ঞানার্জনের পূর্ণ অধিকার দিয়েছে। নারীদের প্রতি উত্তম আচরণের ব্যাপারে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিশেষভাবে দৃষ্টি রাখতেন। তিনিই পৃথিবীতে সর্বপ্রথম নারীদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং একজন নারী একজন পুরুষের চেয়ে তিনগুণ বেশি শ্রদ্ধাভাজন ও মর্যাদার অধিকারী বলে ঘোষণা করেছেন।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ইডেন কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠন- ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, আসন–বাণিজ্য ও আপত্তিকর ভিডিও ধারণের অভিযোগ করতেন; যা বিভিন্ন সময় মিডিয়ায় প্রকাশ পেয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কলরেকর্ড ফাঁস হয়েছে। তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে অনৈতিক ও ভয়াবহ এসব কর্মকাণ্ড এখন প্রকাশ্যে এসেছে। এ ঘটনায় কোনো ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেয়ায় কলেজ কর্তৃপক্ষের প্রতি নেতৃবৃন্দ হতাশা ব্যক্ত করেন। দ্রুততম সময়ে নারী শিক্ষার্থীদের সার্বিক কল্যাণ বিবেচনায় ইডেন কলেজে শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্টকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় এনে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষার নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করার জোর দাবি জানান।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ছাত্রলীগ বর্তমানে ছাত্র সংগঠনের ব্যানার ধারণ করে ক্যাম্পাসে একের পর এক নীতি-নৈতিকতা বিবর্জিত কাজের মাধ্যমে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ব্যাহত করে চলেছে। শিক্ষার্থীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের দলীয় দাসে পরিনত করার ঔদ্ধত্য দেখাচ্ছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা, মানসিক নির্যাতন ও ইজ্জত হরণের মত পৈশাচিক আচরণ করে ছাত্র রাজনীতিকে কলঙ্কিত করছে৷ ছাত্রলীগের সকল অপকর্ম বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট মহলের প্রতি আহবান জানান। অন্যথায় সচেতন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ দেশবাসীকে সাথে নিয়ে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলবে।