বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম আসর মাঠে গড়াবে ৬ জানুয়ারি, শেষ হবে ১৬ ফেব্রুয়ারি। সাত দলের ফ্র্যাঞ্চাইজি প্রতিষ্ঠানও চূড়ান্ত হয়ে গেছে।
তবে এবারের আসরে বিদেশি ক্রিকেটার নিয়ে বিরাট চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বিপিএল। কারণ একই সময়ে ক্রিকেট দুনিয়ায় আরও তিনটি ফ্র্যাঞ্চাইজ টি-টোয়েন্টি লিগ অনুষ্ঠিত হবে। এই ফরম্যাটের তারকা ক্রিকেটাররা এসব লিগের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে গেছেন। সবার শেষে মাঠে নামা বিপিএল মান সম্পন্ন বিদেশি ক্রিকেটারের অভাবে ভুগতে পারে।
অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ, আমিরাতের আইএল টি২০, দক্ষিণ আফ্রিকার এসএ টি২০ লিগে ঝুঁকেছেন নামী ক্রিকেটাররা। চ্যালেঞ্জটা স্পষ্ট, বুঝতে পারছেন বিসিবি কর্তারাও।
পরিস্থিতি সামাল দিতে বিপিএলের নবম আসরে বিদেশি ক্রিকেটারদের নিবন্ধন উন্মুক্ত রাখছে বিসিবি। দলগুলো টুর্নামেন্ট চলাকালীন যখন-তখন বিদেশি ক্রিকেটার আনতে পারবে।
বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক সোমবার সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘সাউথ আফ্রিকান লিগ, ইউএই লিগ এসবে ভারতীয় ফ্র্যাঞ্চাইজিরাই দল নিয়েছে। বেশিরভাগ বিদেশি খেলোয়াড় ওইদিকে চুক্তিবদ্ধ হয়ে গেছে। আমরাও বিপিএলটা আগপিছ করতে পারছি না জাতীয় দলের ব্যস্ততার জন্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিদেশি খেলোয়াড়ের রেজিস্ট্রশনে বাধ্যবাধকতা রাখব না। উন্মুক্ত রাখব। ধরুন কেউ তিনদিনের জন্য এসে খেলে গেল, তার বদলি আরেকজন আসতে পারে। এরকম চিন্তা-ভাবনা আছে।’
বিপিএলে এবার একাদশে খেলানো যাবে চার বিদেশি ক্রিকেটার। তবে নুন্যতম দুইজন বিদেশি খেলাতেই হবে প্রতিটি দলকে।
তবে আগামীতে বিপিএলে এই চ্যালেঞ্জ কমে আসবে বলে আশা বিপিএল সদস্য সচিবের। কারণ তখন প্রয়োজনে বিপিএলের সূচিতে পরিবর্তন আনবে বিসিবি।