তুরস্কের বৃহত্তম ‘মিলিয়ন সংগীত উৎসব’ নিষিদ্ধ করায় সরকারের নিন্দা জানিয়েছেন দেশটির প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) নেতা কামাল কিলিকদারোগলু। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যগুলোতেও তুমুল সমালোচনা হয়েছে। কিলিকদারোগলু সারা দেশে সংগীত নিষিদ্ধ করার জন্য গভর্নরদের নিন্দা করেছেন এবং তাদের সরকারের ‘দালাল’ না হয়ে রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল গভর্নর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। খবর ডুভার ইংলিশ।
বিরোধীদল নেতা এক টুইট বার্তায় বলেন, আমি গভর্নরদের সতর্ক করছি। আপনারা যুবকদের আনন্দ উল্লাসে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারেন না। আপনাদের ইচ্ছা মতো আমরা সবাই সরকারের কাছে মাথা নত করব না। এভাবে সরকার যদি কনসার্ট নিষিদ্ধ করতে থাকে, তাহলে লাখ লাখ মানুষ আন্দোলনে নেমে আসবে।
এজিয়ান প্রদেশের মুগলার গভর্নরের কার্যালয় সূত্রে মঙ্গলবার জানা যায়, দেশব্যাপী বৃহত্তম সংগীত উৎসবটি বাতিল করা হয়েছে। এই উৎসবে প্রায় ১৬ জন বিখ্যাত শিল্পী যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। উৎসব ঘিরে বিপুল সংখ্যক লোকজনের সমাগম হয়েছিল।
এদিকে সংগীত উৎসব বন্ধের সিদ্ধান্তটি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দার ঝড় তুলেছে। মিডিয়া ব্যবহারকারীরা এরদোয়ান সরকারের তীব্র নিন্দা করেছেন। তারা জানিয়েছেন, এটা একতরফা সিদ্ধান্ত। এখানে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব হয়েছে। তরুণ-যুবকরা সরকারি এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
বুধবার মুগলা গভর্নরের কার্যালয় নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে জানিয়েছে, পরিবেশগত কারণে সংগীত উৎসব বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে উৎসব বন্ধের পেছনে রাজনৈতিক কারণ রয়েছে বলে অনেকেই মত প্রকাশ করেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
ফেথিয়ে জেলা গভর্নর অফিসের বিবৃতিতে বল হয়, সংগীত উৎসবের কারণে পরিবেশগত ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা ছিল। চলতি মাসের শুরুতে জননিরাপত্তার অজুহাত তুলে ইজিয়ান উপকূলে বুরহানিয়ে জেলা গভর্নরের কার্যালয় জেটিনলি রক ফেস্টিভাল বাতিল করে তুরস্ক সরকার।






