ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) বলেছেন, ‘জালেমদের কবল থেকে জনগণকে মুক্ত করতে সমাজের সকল সৎ মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর ও মেম্বারদেরকে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
১৬ আগস্ট মঙ্গলবার পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর বিজয়ী চেয়ারম্যান কাউন্সিলর ও মেম্বারদের সাথে মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পীর সাহেব চরমোনাই উপর্যুক্ত কথা বলেন।
পীর সাহেব ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর বিজয়ী চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর ও মেম্বারদের সাথে মতবিনিময়কালে আরো বলেন, ‘হাতপাখার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিগণ নিষ্ঠার সাথে কাজ করলে ইসলামী আন্দোলনের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে এবং আদর্শচ্যুত হলে ইসলামী আন্দোলনকে বিতর্কিত করবে।’ তিনি প্রতিনিধিদের জনগণের খেদমত আঞ্জাম দেয়ার মানসিকতা নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি আলেম-ওলামাদেরকেও জনগণের খেদমতের জন্য তৃণমূলে নেতৃত্ব দেয়ার আহ্বান জানান।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ‘সরকার মদীনার সনদে দেশ চালানোর কথা বলে জনগণের ভোট নিয়ে জনগণকে ধোকা দিয়েছে। তারা এখন ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য উঠে-পড়ে লেগেছে। দেশ দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও মাদকের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। সরকারের বিরুদ্ধে ক্রমেই জনরোষ সৃষ্টি হচ্ছে।’ তিনি সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও মাদকমুক্ত কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জনমত তৈরি করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রিন্সিপাল মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, ‘জনগণ দুঃশাসনের কবলে নিপতিত। সরকার জনগণকে শোষণ করে নিজেদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার চেষ্টা করছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের কষাঘাতে জনজীবন জর্জরিত। মানুষ অত্যন্ত নিরূপায় হয়ে পড়ছে। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর সকল জিনিসপত্রের দাম আকাশচুম্বি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমতাবস্থায় কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটাতে হবে।’
মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, ‘সমাজে ন্যায়পরায়ণতার যে কী মূল্য, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।’ তিনি হাতপাখার জনপ্রতিনিধিদেরকে হযরত সাহাবায়ে কেরামের ন্যায় পাহাড়সম ধৈয্য নিয়ে নিষ্ঠার সাথে কাজ করার আহ্বান জানান।
মাওলানা গাজী আতাউর রহমান ইসলামী আন্দোলনের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদেরকে তৃণমূলে সংগঠনকে সুসংহত করে নেতৃত্ব তৈরি করার আহ্বান জানান।
দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, আল্লামা খালিদ সাইফুল্লাহ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সহকারি মহাসচিব মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজী, আলহাজ্ব খন্দকার গোলাম মাওলা, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন ও অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম ও ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারি মহাসচিব মাওলানা ইমিতয়াজ আলম, অধ্যাপক বেলায়েত হোসেন, আহমদ আবদুল কাইয়ূম, বরকত উল্লাহ লতিফ, জিএম রুহুল আমীন, মাওলানা খলিলুর রহমান, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী প্রমুখ।
নির্বাচিত ইউনিয়ন চেয়ারম্যানগণের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চরমোনাই ইউপি চেয়ারম্যান মুফতি সৈয়দ জিয়াউল করীম, জাগুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মুফতি হেদায়েতুল্লাহ খান আজাদী, শত্রুজিৎপুর ইউপি চেয়ারম্যান মুফতি উসমান গণী মুছাপুরী, নিয়ামতি ইউপি চেয়ারম্যান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, ধুলাসার ইউপি চেয়ারম্যান হাফেজ আব্দুর রহিম, পাঁচগাছিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাতেন সরকার, ময়না ইউপি চেয়ারম্যান হাফেজ মাওলানা আব্দুল হক মৃধাসহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধিগণ।