টানা সাড়ে পাঁচ মাস ধরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই মস্কোর সমালোচনায় সরব অনেক দেশ। এমনকি অস্ত্র ও নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়ে সৃষ্ট সংকটের জন্য বিশ্বের বহু দেশ রাশিয়াকেই দায়ী করে যাচ্ছে।
তবে এবার স্রোতের বিপরীতে অবস্থান নিয়ে কার্যত রাশিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে চীন। একইসঙ্গে ইউক্রেনে চলমান সংকটের জন্য আমেরিকাকে ‘প্রধান উসকানিদাতা’ হিসেবেও অভিহিত করেছে দেশটি।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা তাস-এর সাথে একটি সাক্ষাৎকারে মস্কোতে চীনের রাষ্ট্রদূত ঝাং হানহুই ইউক্রেন সংকটের জন্য আমেরিকাকে ‘প্রধান উসকানিদাতা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
বুধবার প্রকাশিত ওই সাক্ষাৎকারে তিনি সামরিক জোট ন্যাটোর বার বার সম্প্রসারণ এবং ইউক্রেনকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে অর্ন্তভুক্ত করতে চাওয়াসহ রাশিয়াকে কোণাঠাসা করার চেষ্টার জন্য ওয়াশিংটনকে অভিযুক্ত করেছেন।
সাক্ষাৎকারে চীনা রাষ্ট্রদূত ঝাং বলেছেন, ইউক্রেনীয় সংকটের সূচনাকারী এবং প্রধান উসকানিদাতা হিসাবে ওয়াশিংটন রাশিয়ার ওপর অভূতপূর্বভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার মধ্যেই কিয়েভকে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে। তাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধ বজায় রাখা এবং নিষেধাজ্ঞার কবলে ফেলে রাশিয়াকে নিঃশেষ ও চূর্ণ করা।
তিনি বলেন, স্নায়ুযুদ্ধের মানসিকতা পুনরুজ্জীবিত করতে, চীন ও রাশিয়াকে আটকাতে এবং প্রধান শক্তিধর দেশগুলোর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও সংঘর্ষকে উসকে দিতে যুআমেরিকা ইউক্রেন-তাইওয়ানে একই কৌশল প্রয়োগ করার চেষ্টা করছে।