সৈয়ব আহমেদ সিয়াম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: জুলাই অভ্যুত্থানে বিরোধীতাদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীরা সর্বাত্মক বয়কটের সিদ্ধান্ত হয়। আন্দোলন চলাকালেই গণহত্যার পক্ষে অবস্থান করা ছাত্রলীগ কর্মীদের সাথে ক্লাস না করার ঘোষণা দেন তারা।
রবিবার (২০ অক্টোবর) দুপুর একটায় চবি কলা অনুষদে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের (২০২০-২১ সেশন) শিক্ষার্থীরা সহপাঠীদের সর্বসম্মতিক্রমে গণহত্যার পক্ষে অবস্থান নেওয়া ছয় ছাত্রলীগ কর্মীকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়।
বহিষ্কৃতরা হলেন: শেখ রিহাদ, মামুনুর রশিদ, আপেল মিয়া, মোঃ মোজাম্মেল রাহাদ, মোঃ জুয়েল রানা ও শরিফুল ইসলাম
তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে অন্তর শফিউল্লাহ জানান, “জুলাই অভ্যুত্থানের শহিদ ফরহাদ আমার রুমমেট ছিলো। শহিদের স্মৃতি আমায় এখনো প্রতি বেলা কাঁদায়। সরাসরি হত্যায় অংশগ্রহণকারীদের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। সেই সাথে গণহত্যায় সমর্থন দিয়ে মিছিল বা পোস্টকারীদেরও ন্যূনতম কিছু শাস্তি দিতে হবে। এদেরকে শাস্তি না দিলে পরবর্তীকালের ছাত্রনেতারা এরকম অপকর্ম করার সাহস আরো বেশি করে করবে।”
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের সিআর সোহানূর রহমান সোহান বলেন, “পাঁচ জনকে আন্দোলন চলাকালেই ডিপার্টমেন্ট থেকে বয়কট করা হয়েছিলো। একজনের ব্যাপারে নতুন করে প্রমাণ পাওয়া গেছে। অনেকের দাবী ছিলো, ছয় জনকেই স্থায়ী বহিষ্কার করা হোক। কিন্তু, গণহত্যার পক্ষে অবস্থান করা এই সহপাঠীদের আমরা সংশোধনের সুযোগ দিতে চাই। তাই, ব্যাচের সকলের উপস্থিতি ও গণস্বাক্ষরের ভিত্তিতে এই ছয় ছাত্রলীগ নেতাকে শুধুমাত্র দুই বছরের জন্য বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোনো একক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ব্যাচের সকলের মতামতকেই আমলে নেওয়া হয়েছে।”