চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: শনিবার (৮ জুন ২০২৪) বেলা ১২ টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) বুদ্ধিজীবী চত্বরে শতভাগ কোটার দাবীতে চবিতে একক মানববন্ধন করেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী সৈয়ব আহমেদ সিয়াম।
এই শিক্ষার্থীকে “শতভাগ মুক্তিযোদ্ধা কোটার দাবীতে মানববন্ধন” লেখা ফেস্টুন নিয়ে বুদ্ধিজীবী চত্বরে একা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। সৈয়ব আহমেদ সিয়াম বলেন, “আমি আজকে তিন দফা দাবী নিয়ে একক মানবন্ধনের নামে অবস্থান কর্মসূচীতে হাজির হয়েছি। এক, শতভাগ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাস্তবায়ন করতে হবে। দুই, জন্মের পূর্বেই ভ্রূণের ক্ল্যাসিফিকেশনের মাধ্যমে পূর্ণ বর্ণবাদ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তিন, আমার সাথে চার জন মুক্তিযোদ্ধার নাতনিকে বিয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।”
তিনি আরো বলেন, “২.৬৩% মানুষের জন্য ৫৩% কোটা বরাদ্দ করা হচ্ছে। আমি বরং চাকুরি এবং বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা উভয় ক্ষেত্রে ১০০% মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাস্তবায়নের দাবী জানাবো। প্রশ্ন আসবে, বাকিরা কী করবে তাহলে? এই জন্যই জন্মের পূর্বেই ভ্রূণের ক্ল্যাসিফিকেশনের মাধ্যমে পূর্ণ বর্ণবাদ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। কোটাধারীরা হবে ব্রাহ্মণ। তারাই শুধু পড়াশোনা ও উচ্চপদে চাকুরির সুযোগ পাবে। কোটা সমর্থনকারীরা হবে ক্ষত্রীয় ও বৈশ্য। তারা ভার্সিটিতে মুড়িমাখা বিক্রির লাইসেন্স পাবে। অপরদিকে কোটা বিরোধীরা হবে শূদ্র। তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে জুলুম করা হবে। আর আমি কোটার পক্ষে হলেও আমার দাদা-নানা কেউই যুদ্ধ করেননি। এব্যাপারে আমি অনুতপ্ত। সম্ভব হলে তাদেরকে কবর থেকে তুলে জিজ্ঞাসাবাদ করতাম। এখন আমার অনুতাপ মেটাতে এবং ছেলেমেয়ের জন্য কোটা নিশ্চিত করতে চার জন মুক্তিযোদ্ধার নাতনিকে বিয়ে করার ইচ্ছা পোষণ করি। এব্যাপারে আপনাদের সাহায্য কামনা করছি।”
স্রোতের বিপরীতে শতভাগ কোটার পক্ষে কেন দাঁড়াচ্ছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে সৈয়ব আহমেদ সিয়াম বলেন, “আমার দাবী আপনাদের কাছে তামাশা মনে হলে রাষ্ট্র আমাদের সাথে আরো বড় তামাশা করতেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আমার কোনো অসম্মান নাই। হাইকোর্টের প্রতি সম্মান রেখেই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ থাকবে। আর হ্যাঁ, আমিও সেদিন কোটার বিপক্ষে দাঁড়াবো। যেদিন কোটাধারীরা নিজেরাই একযোগে কোটার বিরুদ্ধে অবস্থান নিবে। সেই দিন যদি না আসে তাহলে শতভাগ কোটার রাজত্ব কায়েম করে পূর্ণ বর্ণবাদ প্রতিষ্ঠার দাবী থাকবে।”