মানববন্ধনে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ এর সদ্য সাবেক কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য মু. নাঈম উদ্দিন বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মত প্রতিষ্ঠানে এমন ধরনের ইস্যু নিয়ে মানববন্ধন করতে হচ্ছে আমাদের যা লজ্জাজনক। নেকাব না খোলায় ভাইবা থেকে বের করে দেওয়ায় সংবিধানের ধর্মীয় স্বাধীনতার বিধানকে লঙ্ঘন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ ধরনের ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট আবেদন জানাচ্ছি। পর্দা মুসলিম নারীর রক্ষাকবচ ও আত্মপরিচয়ের হাতিয়ার। কিন্তু স্বাধীন দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ এবং একটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে নারীর অধিকারের ক্ষেত্রে শিক্ষকদের এমন নগ্ন হস্তক্ষেপ ও কাণ্ডজ্ঞানহীন আচরণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদেরকে চরমভাবে আঘাত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি মুহাম্মাদ আল আমিন
শাখা সভাপতি মুহাম্মাদ আল আমিন আরও বলেন, সম্প্রতি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থীকে নেকাব না খোলায় বিভাগীয় সেমিস্টার ফাইনালের ভাইবা থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান ও নাগরিক অধিকার হরণ করার নামান্তর। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখবেন বলে আশা করি।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে শাখা সভাপতি মুহাম্মাদ আল আমিনের সভাপতিত্বে ও শাখা সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন রাহাতের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আল-ইমরান, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মু. সাজ্জাদ সাব্বির, দাওয়াহ সম্পাদক মো: আনওয়ার ইসলাম, তথ্য -গবেষণা ও প্রচার সম্পাদক মো: আবু সাঈদ, প্রকাশনা দফতর সম্পাদক নেয়ামাতুল্লাহ আল ফারিস, অর্থ ও কল্যাণ সম্পাদক ইয়াসিন আরাফাত, পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক আবু হুরায়রা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক মো: ইসমাইল হোসেন তাকবির ও কার্যনির্বাহী সদস্য মো: আমানুল্লাহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।