আমাদের সকলের লক্ষ্য হওয়া উচিত একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। কল্যাণ রাষ্ট্রের লক্ষ্য হচ্ছে একদিকে উন্নয়ন ও সুবিচার প্রতিষ্ঠা করা, অন্যদিকে দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো। একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মৌলিক তিনটি উপাদান হলো—
এক : সুবিচারপূর্ণ অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা করা : যেমন কোনো হারাম বা ক্ষতিকর জিনিস উৎপাদন করা যাবে না। দূর্নীতি থাকবে না। যাকাত ব্যবস্থার প্রবর্তন করতে হবে, বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণে থাকতে হবে, কর্মসংস্থান সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকতে হবে। সুদবিহীন অর্থব্যবস্থা ও ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
দুই : দারিদ্র দূর করা : সমাজের সুবিধা বঞ্চিত মানুষের সেবা নিশ্চিত করা। বৃদ্ধ ও বিধবাদের জন্য ভাতার ব্যবস্থা করা। এসব ভাতা এমন হতে হবে যেন আর হাত পাততে না হয়। এমনিভাবে শিক্ষিত বেকারদের জন্য বেকার ভাতার ব্যবস্থা করা। এটা কল্যাণ রাষ্ট্রের একটি বড় দিক।
তিন : এমন এক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করা : যার মাধ্যমে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়। এ ব্যাপারে কোনো ছাড় দেয়া উচিত হবে না। এর জন্য দেশ থেকে সন্ত্রাস, খুন-খারাবি, জুলুম, অত্যাচার, দুর্নীতি, লুটপাট দূর করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন শিক্ষাব্যবস্থার সর্বস্তরে নৈতিকতা অন্তর্ভূক্ত করা।
লেখক:ড.শহীদুল ইসলাম ফারুকী
অধ্যাপক: এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।