বিগত ১৫ বছরে ভোটবিহীন আওয়ামী সরকারের মদদে গড়ে ওঠা প্রশাসনিক রাজনীতি এখন তাদেরই গ্রাস করতে উদ্ধত হয়েছে। কিছু অতি উৎসাহী প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের ওপর নির্বিচারে বর্বরোচিত হামলার যে সংস্কৃতি গড়ে তুলেছে আজ খোদ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা সেই বর্বরতার শিকার। পুলিশের হাতে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ জখম হওয়ার পরেও কোন আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে না পারা এটাই প্রমাণ করে যে আইনের শাসন বিলুপ্ত হয়েছে এবং রাষ্ট্র ও সরকার মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। একই সাথে পুলিশের সহযোগিতা ছাড়া ক্ষমতা ও ছাত্রলীগের অপকর্ম টিকিয়ে রাখা অসম্ভব বলেই আজকে পুলিশের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নিতে তাদের এত ভয়।
আজ ১১ সেপ্টেম্বর সোমবার ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ ও সেক্রেটারি জেনারেল ইউসুফ আহমাদ মানসুর এক যৌথ বিবৃতিতে ‘শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন নাঈমকে শাহবাগ থানায় এডিসি হারুন এর নেতৃত্বে নির্যাতন এর ঘটনা প্রেক্ষিতে এসব কথা বলেন।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ইতিপূর্বে ছাত্রলীগ বিরোধী মত দমনে বিরোধী ছাত্রসংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। তাই ছাত্রলীগের দুর্দিনে তাদের পাশে আজ কেউ নেই। এমনকি সারাদেশে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে কোন সাংগঠনিক প্রতিবাদ ও আইনি পদক্ষেপ নেয়ার সাহসও কেউ করছে না। এতে স্পষ্ট যে ছাত্রলীগ নৈতিকতা বিবর্জিত ও পুলিশবিহীন অচল ছাত্র সংগঠনের রূপ লাভ করেছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ছাত্রলীগের এমন অপমানজনক অবস্থা বাংলাদেশের ছাত্র সংগঠনগুলোর জন্য লজ্জার ও হতাশার। একজন শিক্ষার্থী যত বড় অপরাধই করুক না কেন তার জন্য রাষ্ট্রে আইন আদালত রয়েছে। কোন পুলিশ তার ওপর নির্বিচারে বর্বর হামলা করার অধিকার রাখে না। পুলিশের হাতে সাধারণ শিক্ষার্থী নির্যাতনের এই সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। একই সাথে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।