ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতী হেমায়েতুল্লাহ কাসেমী বলেছেন, সরকারের ভিতর ঘাপটি মেরে থাকা নাস্তিক্যবাদী গোষ্ঠী ইসলামের অন্যতম বিধান পর্দা নিয়ে কটাক্ষ করছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা একজন মুসলমান। বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের চিন্তা চেতনা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। অথচ ঢাবির বাংলা বিভাগে একজন কুলাঙ্গার পর্দানশীন মেয়েদের নিয়ে অযাচিত মন্তব্য করে বলছেন, ‘পর্দা করলে ঘরে বসে পড়ালেখা করো, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির দরকার নেই’।
এধরনের মন্তব্য ধর্মীয় অনুভুতিতে চরম আঘাত। ওই শিক্ষক নামের কুলাঙ্গার ছাত্রদেরকে বোরকা খুলতে বাধ্য করে। পর্দানশীন মেয়েদের হেনস্তা করছেন। এগুলো বন্ধ না হলে এবং অবিলম্বে ওই শিক্ষককে তার বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় দেশব্যাপী আন্দোলনের দাবানল জ্বালিয়ে দেয়া হবে। তিনি বলেন, আওয়ামীলীগের ছত্রছায়ায় এসকল নাস্তিক্যবাদী গোষ্ঠী ইসলামের বিরুদ্ধে, পর্দার বিরুদ্ধে কটাক্ষ করছে।
আজ ৩০ আগস্ট বুধবার বিকেলে রাজধানী কাওরান বাজার কাঠপট্টি সংলগ্ন খোলা মাঠে থানা তৃণমূল প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
থানা সভাপতি আলহাজ্ব আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারী মাওলানা সাব্বির খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন নগর উত্তর সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি ফরিদুল ইসলাম, আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার, ইসলামী যুব আন্দোলন ঢাকা মহানগর উত্তরের আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল হাই মোল্লা, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর পশ্চিমের সভাপতি মুহাম্মাদ নজরুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন থানা ওয়ার্ড তৃণমূল ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
